বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::ভারতের কড়া আপত্তিকে কানে তুলল আমেরিকা! ফের একবার আভ্যন্তরিন ইস্যুতে বার্তা মার্কিন প্রশাসনের। গত কয়েকদিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে বক্তব্য রাখে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ভারতকে। যদিও এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে মার্কিন কূটনীতিক তলব করে কড়া বার্তা দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

এহেন বিতর্কের মধ্যেই এবার কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নিয়ে মন্তব্য আমেরিকার। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই প্রসঙ্গে বলছেন, আমেরিকা প্রতিটি ইস্যুতে ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষে। যদিও কোনও ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনার কথা তাঁরা বলছেন না, তবে অবশ্যই স্বচ্ছ এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন ম্যাথিউ।

এই বিষয়ে কোনও মতান্তর থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন ওই আধিকারিক। যদিও মার্কিন কূটনীতিককে তলব নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখতে চাননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনের একমাসও বাকি নেই। ভোটের মুখে ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট!

প্রায় চারটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে আয়কর দফতর। যার ফলে প্রচার কিংবা কোনও কাজে টাকা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে গত কয়েকদিন আগেই সরব হন সোনিয়া-রাহুল গান্ধীরা। যদিও আয়কর দফতরের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। যদিও ট্রাইউবুনাল এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।
ফলে জটিলতা আরও বেড়েছে। কংগ্রেসেরর দাবি, বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ। আর এই ইস্যুতে যখন সরগরম দেশের রাজনীতি। ঠিক সেই সময় এই বিষয়ে আমেরিকার মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবেদনগুলি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ন্যায্য এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়ার কথা বলেন মার্কিন ওই আধিকারিক।

ভারতের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ভারত। আর তা মার্কিন কূটনীতিক তলব করে জানিয়েও দেয় বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু এরপরেও আভ্যন্তরীন ইস্যুতে বার্তা আমেরিকা। এবার কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা নিয়ে মন্তব্য সে দেশের। যা ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *