বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:একদিনের বিশ্বকাপ সমাপ্ত হয়েছে প্রায় চার মাস আগে। কিন্তু বিশ্বকাপের পিচ বিতর্ক যেন কিছুতেই মিটছে না। বিশ্বকাপ চলাকালীন বার বার পিচ নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, এমনকি ফাইনাী‌লে পিচের চরিত্র নিয়েও আলোচনা কম হয়নি। এবার সেই বিতর্ককেই ফের একবার উস্কে দিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। ফাইনালে স্লো উইকেটকেই ভারতের হারের জন্য দায়ী করেছেন কাইফ।

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পিচটি হোম টিমের জন্য উপযুক্ত ছিল না। কাইফ আরও উল্লেখ করেছেন ফাইনালের পিচ ভারতীয় দলের জন্য উপযুক্ত করার জন্য বিসিসিআই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের কিউরেটরদের স্লো উইকেট বানানোর নির্দেশ দিয়েছিল।

একটি সাক্ষাৎকারে কাইফ জানিয়েছেন, ভারত ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের একটি মন্থর পিচের অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে হৃদয়বিদারক পরাজয়ের মুখে পড়েছিল।কাইফ যুক্তি দিয়েছেন, ভারতীয় দল পিচ ও উইকেট নিয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নীরীক্ষা করতে গিয়েছিল এবং প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া তাদের নিজস্ব পরিকল্পনায় পরাজিত হয়েছিল।’
ফাইনালে ভারতীয় দল ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং ম্যাচটি ৬ উইকেটে হেরেছিল। প্রথমে ব্যাট করতে না়মা ভারত মাত্র ২৪০ রান তুলতে সক্ষম হয়, যা অস্ট্রেলিয়া ৪৩ ওভারে ট্র্যাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির কারণে তাড়া করেছিল।

কাইফ বলেছেন, “আমি সেখানে তিন দিন ছিলাম। ফাইনালের আগে রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় প্রতিদিন ৩ দিন ধরে পিচ পরিদর্শন করেছেন। তারা প্রতিদিন এক ঘন্টা পিচের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতেন। আমি পিচের চরিত্র পরিবর্তন করতে দেখেছি। সেখানে কোনও জল নেই। পিচ, ট্র্যাকে ঘাস নেই। ভারত অস্ট্রেলিয়াকে স্লো ট্র্যাক দিতে চেয়েছিল। মানুষ বিশ্বাস করতে না চাইলেও এটাই সত্য।’
একইসঙ্গে কাইফ বলেছেন, ‘ অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্ক ছিল, তাই ভারত একটি ধীরগতির পিচ দিতে চেয়েছিল এবং এটি আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আপনি যখন পিচের চারপাশে ঘোরাফেরা করছেন – আপনাকে কেবল দুটি লাইন বলতে হবে – দয়া করে জল দেবেন না, শুধু ঘাস কমিয়ে দিন। পিচ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা নিতে গিয়েই ভারতকে সমস্যায় পড়তে হল।’

একইসঙ্গে কাইফ বলেছেন, ‘কামিন্স চেন্নাই থেকে শিখেছেন যে ধীরগতির উইকেটে ব্যাটিং শুরুতে কঠিন। ফাইনালে কেউই প্রথমে মাঠে নামেন না, কিন্তু কামিন্স করেছিলেন এবং তাঁর পরিকল্পনা সফলও হয়েছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *