বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে এসবিআই। যা প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে।

সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের অর্ধেকের কাছাকাছি সুবিধা পেয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাজনৈতিক দলের তহবিল প্রক্রিয়া থেকে কালো টাকা মুছে ফেলতে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চান না বলে মন্তব্য করে অমিত শাহ বলেছেন, নির্বাচন বন্ড প্রকল্প ও কালো টাকা মুছে ফেলতে কীভাবে এটি চালু করা হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করতে তিনি প্রস্তুত।

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এই প্রকল্প কার্ককর হওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলি নগদ অর্থে অনুদান নিত। আর এই স্কিম চালু হওয়ার পরে সংস্থাগুলি কিংবা ব্যক্তিরা দলগুলিকে অনুদান দিতে বন্ড কিনতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চেক জমা দিতে হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছেন এটি বিশ্বের সব থেকে বড় তোলা তোলার র‍্যাকেট। অমিত শাহ এব্যাপারে রাহুল গন্ধীর মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন একটি ধারণা তৈরি হয়েছে ক্ষমতায় থাকার কারণে নির্বাচনী বন্ড থেকে বিজেপি উপকৃত হয়েছে। তা কিন্তু নয়। তিনি বলেছেন, মোট নির্বাচনী বন্ডের পরিমাণ প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। বাকি ১৪ হাজার কোটি টাকার বন্ড কোথায় গেল, প্রশ্ন করেছেন তিনি?

সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলি যে অর্থ পেয়েছে ,তা লোকসভায় তাদের আসন প্রাপ্তির তুলনায় অসম। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনী বন্ড থেকে সুবিধাভোগীদের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে থাকা তৃণমূল ও তৃতীয়স্থানে থাকা কংগ্রেসের নাম উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত নির্বাচনী বন্ড থেকে তৃণমূল প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা এবং কংগ্রেস ১৪০০ কোটি টাকা পেয়েছে। এর পরবর্তী স্থানগুলিতে থাকা অন্য দলগুলি হল বিআরএস ১২০০ কোটি, বেজেডি৭৭৫ কোটি এহং ডিএমকে ৬৪৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প কার্যকর হওয়ার পরে গোপনীয়তায় কিছু নেই। কেননা দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের অ্যাকাউন্টেই সেই অর্থের পরিমাণ প্রতিফলিত হয়েছে। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, যখন নগদ লেনদেনের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া-নেওয়া হতো, সেই সময় তারা দলের জন্য ১০০ টাকা জমা করে হাজার টাকা নেতারাই রেখে দিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *