বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক : সিএএকে মুসলিম বিরোধী বলতে রাজি নন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, মুসলিমরাও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেজরিওয়ালরা ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সিএএকে মুসলিম বিরোদী বলা হচ্ছে। এব্যাপারে এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেছেন, এই আইনকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায় না। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল। সেই সময় কংগ্রেস নেতারা দেশান্তরিতদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারণে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি।
ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে সেখানকার সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমে যাওয়ার উদাহরণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, দেশভাগে সময় পাকিস্তানে হিন্দু ও শিখ ছিল ২৩ শতাংশ, কিন্তু এখন মাত্র ৩.৭ শতাংশ। তাঁরা কোথায় গেলেন? অমিত শাহ বলেছেন, এইসব মানুষদের অপমান করা হয়েছিল কিংবা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। এব্যাপারে অমিত শাহ বাংলাদেশের উদাহরণ তুলে ধরে বলেছেন ১৯৫১ সালে বাংলা দেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল ২১ শতাংশ, এখন তা ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। কোথায় গেলেন এইসব মানুষেরা।
বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, মুসলিমদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। কোনও কাগজপত্র ছাড়াই লোকজন এসেছে বলেই এই বিশেষ আইন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিএএ নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দা করেছেন অমিত শাহ। প্রসঙ্গত অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, সিএএ ভারতীয় যুবরদের চাকরি কেড়ে নেবে এবং দেশে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এব্যাপারে অমিত শাহ বলেছেন, যাঁরা এই আইন থেকে উপকৃত হবেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতেই রয়েছেন।
অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সিএএ সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। এব্যাপারে অমিত শাহ বলেছেন, উনি যদি এতই উদ্বিগ্ন হন, তাহলে কেন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা বলছেন না।, কারণ তিনি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর আবেদন দয়া করে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের ক্ষতি করবেন না। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, সিএএ-তে এমন একটি ধারার কথা বলুন, যেখানে কোনও ভারতীয়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিধান রয়েছে।
তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেছেন, উনার উদ্দেশ্য হল হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর আবেদন অনুপ্রবেশ বন্ধ করুন। তিনি (মমতা) এব্যাপারে সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ।