বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সিএএ ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এব্যাপারে আপস করবে না। সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেছেন, দেশে ভারতীয়দের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা আমাদের সার্বভৌম অধিকার। এর সঙ্গে আপস করা হবে না, এটিকে ফিরিয়েও নেওয়া হবে না।
বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের, বিশেষ করে এক কংগ্রেস নেতা শশী তারুর বলেছেন, তারা যখন ক্ষমতায় আসবেন, তখন আইনটি বাতিল করা হবে। এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অমিত শাহ কটাক্ষ করে বলেছেন, বিরোধীরাও জানেন আপাতত তাদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই।
অমিত শাহ বলেছেন, বিজেপি সিএএ এনেছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার এটিকে এনেছে। এটিকে বাতিল করা অসম্ভব। সারা দেশে এব্যাপারে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যারা এটিকে বাতিল করতে চায়, তারা যেন জায়গা না পায়। সিএএ অসাংবিধানিক, এমন সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে অমিত শাহ বলেছেন, এটি সাংবিধানিক বিধানকে লঙ্ঘন করে না।
অমিত শাহ বিরোধীদের সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, তারা সমসময় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তারা ভুলে যান, সেই অনুচ্ছেদের দুটি ধারা রয়েছে। এই আইনটি ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। অমিত শাহ বলেছেন, এখানে পরিষ্কার যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে। এটি তাদের জন্যই যারা দেশ বিভাজনের কারণে রয়ে গিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, যেসব মানু। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের স্বীকার হয়ে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটি তাদের জন্য।
লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ সম্পর্কে অমিত শাহ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী কিংবা অরবিন্দ কেজরিওয়াল মিথ্যার রাজনীতি করছেন। বিজেপির তাদের ২০১৯-এর ইস্তেহারে স্পষ্ট বলেছিল সিএএ আনবে এবং উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করবে। তিনি বলেছেন, বিজেপির স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই অপ্রতিশ্রুতির অধীনেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ সংসদের উভয় কক্ষে পাস করানো হয়েছিল। কোভিডের কারণে যার বিলম্ব হয়েছিল।
অমিত শাহ বলেছেন, নিয়ম এখন একটি আনুষ্ঠানিকতা। সময়, রাজনৈতিক লাভ বা ক্ষতির প্রশ্ন নেই। তিনি অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা তুষ্টির রাজনীতি করে তাদের ভোটব্যাঙ্ককে সুসংহত করতে চায়। তবে তিনি সারা দেশে গত চার বছরে অন্তত ৪১ বার বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘুদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ এখানে নাগরিকদের অধিকার ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও বিধান নেই।
তবে যাঁদের কোনও কাগজ নেই, তাঁরা কী করবেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহ এএনআইকে জানিয়েছেন, তাঁদের বিষয়টি পরে চিন্তা করা হবে। তাঁদের জন্য পথ খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।