বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: গতকাল বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল জল্পনা। গতকাল সন্ধ্যার নামার পরই সেই জল্পনাই বাস্তবে রূপ পেল। লোকসভা ভোটের আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তাস খেলল বিজেপি।

চার বছর আগে আইনে পরিণত হয়েছিল সিএএ। আইনে পরিণত হলেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সিএএ-র ধারা-উপধারা যুক্ত হয়নি। ফলে বাস্তবে এই আইন কার্যকরও হয়নি। সোমবার সিএএ নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের নোটিফিকেশন জারি হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে লাগু হল সিএএ। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সিএএ লাগু করার পর থেকেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। সিএএ লাগু হওয়ার আগেই সুর চড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মেরুকরণের অভিযোগে সরব হল কংগ্রেস।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের লোকসভা ভোটের ঠিক আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র মেরুকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, সিএএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হল নয়টি এক্সটেনশনের পরে, এই সময়টি বেছে নেওয়া হয়েছে স্পষ্টতই নির্বাচনের মেরুকরণের জন্য করার জন্য, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে তার সরকার দ্রুততার সঙ্গে এবং সময়বদ্ধ পদ্ধতিতে কাজ করে। সিএএ-র নিয়মগুলিকে অবহিত করতে যে সময় নেওয়া হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর নির্লজ্জ মিথ্যার আরেকটি প্রদর্শন। চার বছর আগে সংসদে পাস হওয়া সিএএ-র লাগু করার জন্য কেন চার বছর সময় নিল সরকার?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন, মমতা বলেন, ‘বাংলা সহ উত্তর পূর্বে এটা কিন্তু খুব স্পর্শকাতর। নতুন করে অশান্তি হোক এটা চাই না। রমজানের অভিনন্দন। কিন্তু এই দিনেই কেন করতে হল? সবাইকে শুভনন্দন। ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। কারোর অধিকার কেড়ে নিলে তৃণমূল আওয়াজ তুলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *