বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রবিবার ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা। উত্তরবঙ্গ এবং রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই নেতা-কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। জনগর্জন সভায় এবারে বিশেষ চমক রাখা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
শুক্রবার থেকেই দূরের জেলাগুলি থেকে কলকাতামুখী তৃণমূলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে কোচবিহার-জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার থেকে রওনা দেন তাঁরা। রেলের কাটা টাকা দিয়ে আবেদন করেও ট্রেন পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের নেতারা।
অন্যদিকে শুক্রবার রাত থেকে কলকাতামুখী হতে শুরু করেছেন মালদহ ও মুর্শিদাবাদের নেতা-কর্মীরা। বাসে ছাড়াও ছোট গাড়িতে করেও নেতা-কর্মীরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কিংবা দিচ্ছেন। তাঁদের অধিকাংশই শনিবার বিকেল ও রাতের মধ্যে কলকাতায় পৌঁছে যাবেন। এঁদের থাকার জন্য নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম-সহ বিভিন্ন জায়গায় বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।
খুব কম সময়ে ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বিভিন্ন জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে, তারা দেড়শো থেকে আড়াইশো ছোট সভা করেছে। সেখানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান এবং সাংসদ ও বিধায়করা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রেখেছেন। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে তাঁদের জেলা থেকে অন্তত ৫০ হাজার করে মানুষ ব্রিগেডে যাচ্ছেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জনগর্জন সভা থেকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। যার শুরু করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের যে নির্বাচিত অংশে সভা করা হচ্ছে তাকে বেশ কতগুলি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। মঞ্চ এবং ডি জোন বাদ দিয়ে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটির কাছাকাছি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে মাঠকে, যেখানে কর্মী সমর্থকরা থাকবেন।
মোট তিনটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। মূল মঞ্চের বাম দিকে এবং ডানদিকে দুটি ছোট মঞ্চ। মূল মঞ্চের ঠিক সামনে দিয়েই একটি সিঁড়ির মাধ্যমে কানেক্ট করা হচ্ছে র্যাম্প। প্রায় ৩৪০ ফুটের এই র্যাম্পের মাধ্যমে সোজাসুজি পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। মূল মঞ্চ থেকে প্রায় ১৫০ ফুট পরে টি আকারে আরো দুটি র্যাম্প মঞ্চের বাঁ দিক এবং ডানদিকে করা হয়েছে।
মূলত হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে বড় মিছিলগুলি আসবে। তৃণমূলের জনগর্জন সভা উপলক্ষে রবিবার কলকাতায় যান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বহুতলগুলি থেকে নজরদারি চালানো হবে।