বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যা কিনা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। এদিন দলের ৩৯ জন প্রার্থীকে নিয়ে প্রথম তালিকা প্রকাশ করে এমনটাই বলেছেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন, অজয় মাকেন এবং পবন খেরাও। সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও।

বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের উপস্থিতিতে সিইসির বৈঠকে মাত্র ৩৯ টি আসনে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছে। সেখানে, কেরল, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, দিল্লি ও লাক্ষাদ্বীপের প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেসি বেনুগোপাল।

কংগ্রেসের পরবর্তী সিইসির বৈঠক হবে ১১ মার্চ। সেখানে বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরেই প্রার্থীদের নাম জানা যাবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস চেষ্টা করছে সব জায়গাতেই ইন্ডিয়া ব্লকের সঙ্গীদের সঙ্গে যেতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো কিছু রাজ্যে কিছু ইস্যু রয়েছে। সেই ইস্যুগুলির সমাধান করতে চাইছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস অবস্থান সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বেনুগোপাল বলেছেন, তারা চাইছেন বিজেপির আসন কমাতে। তা করতে গিয়ে কংগ্রেস যে কোনও ধরনের ত্যাগে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেইসব রাজ্যগুলি থেকে সহযোগীদেরও সহযোগিতা চাইছে কংগ্রেস। তবে এদিন কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলের নামে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

গত জানুয়ারিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল একাই লড়াই করবে। কংগ্রেসকে তিনি দুটি বেশি আসন দিতে কোনওভাবেই রাজি ছিলেন না। দুটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার গ্যারান্টিও দিয়েছিল তৃণমূল। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলই রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, অন্য কেউ নয়। তারপরেও কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে আশাপ্রকাশ করেছিলেন।

পরবর্তী সময়ে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যের বাম নেতৃত্বের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে এব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়নি। তারই মধ্যে এদিন কংগ্রেসের প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে সেখানকার কংগ্রেস সভাপতি আশিস সাহাকে প্রার্থী করে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় কার্যত জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *