বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদীর পরিবারে যোগ দিলেন তাপস রায়। বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে নিলেন। রাজ্যের রাজনীতিতে বুধবার এক বড় দলবদল হল। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাপস রায়কে ‘অভিভাবক’ হিসেবে সম্মোধন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


বুধবার বিকেলে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর পাশে বসেছিলেন তাপস রায়। উত্তরীয় দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। ফুলের স্তবক দেওয়া হয়। বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয় হাতে। তৃণমূল সরকারকে পর্যুদস্ত করার কথা একদা তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের মুখে।

বিজেপির অন্যতম নেতা রাহুল সিনহা তাপস রায়কে এসে জড়িয়ে ধরেন। প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কি সংগঠন বাড়ানোর জন্যই তাপস রায়কে দলে নিল? শুভেন্দু অধিকারী এই যোগদানের আগে বক্তব্য রেখেছেন। সেখানে কিছু ইঙ্গিত তিনি দিলেন।

তাপস রায় তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের নেতা। তারও আগে কংগ্রেস পরিবারে ছিলেন। কলকাতার রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। সোমেন মিত্রের এক সময়ের অন্যতম রাজনৈতিক সঙ্গী ছিলেন এই তাপস রায়। সে কারণে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় তাপস রায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুধু তাই নয়, কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর, ব্যারাকপুর অঞ্চলেও তাপস রায়ের প্রভাব রয়েছে। তিনি নিজে বরানগর এলাকার বিধায়ক ছিলেন। বহু তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর অনুগামী। রাজনীতির ময়দানে তাপস রায়ের জনসংযোগ এখনও যথেষ্ট বেশি। সেই ভূমিকাকে কি কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির? প্রশ্ন উঠছে।

মধ্য কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের উদীয়মান মুখ ছিল সজল ঘোষ। সেই সজল ঘোষ বিজেপিতে চলে যান। তিনি এখন কলকাতা জেলার বিজেপির অন্যতম নেতৃত্ব। এবার তাপস রায়কেও তাদের ঘরে আমন্ত্রণ জানিয়ে সদস্য করা হল। অর্থাৎ শহর ও আশেপাশের এলাকাতে এবার বিজেপি ক্ষমতা, সংগঠন বাড়াতে চাইছে। এমন অনুমান করা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী নিজেও জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে বিজেপির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। কলকাতা সহ শহরাঞ্চলে এবার আরও প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বিজেপি। তাপস রায়কে বিজেপির কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার নেতৃত্ব চেয়েছেন। তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। এমন কথা দলীয় নেতৃত্ব উপর মহলকে জানায় তারপরেই এই যোগদান হয়। এই কথাও জানা গিয়েছে।

ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কলকাতায় সেই অর্থে বিজেপির কোনও সুপরিচিত মুখ নেই। সে কারণেই আরও বেশি গুরুত্ব পেলেন তাপস রায়। এবার তিনি কি উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট পাবেন? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও কয়েক দিনের অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *