বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দিয়েই ‘শান্তির বাংলা’ গড়ার ডাক দিলেন তাপস রায়। একই সঙ্গে বর্তমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ‘শেখ শাহজান-শিবু হাজরা’দের সরকার বলেও আক্রমণ শানালেন তিনি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের মুখে বড় ধাক্কা শাসকদল তৃণমূলে। দল ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সাথী তাপস রায়।
বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতির হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন (Tapas Roy Join Bjp) তিনি। এদিন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ শানান বরাহনগরের বিদায়ী বিধায়ক। একই সঙ্গে বিজেপির প্রতি আনুগত্যও দেখান।
বলেন, আমি আজ থেকে বিজেপির সদস্য হলাম। যতদিন রাজনীতি আছি, ততদিন বিজেপির পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। এমনকি যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তাও পালন করবে বলে মন্তব্য তাঁর। এরপরেই কার্যত তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানান তিনি।
বলেন, কোনও নিয়ম মানছে না বর্তমান সরকার। এমনকি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়কেও মানছে না। ‘শেখ শাহজান-শিবু হাজরা’দের সরকার বলে তোপ। শুধু তাই নয়, এই সরকারকে উৎখাতেরও ডাক দেন তাপস রায়। বলেন, সবাই মিলে কাজ করে শান্তির বাংলা গড়ব। তবে এর থেকে বেশি কোনও মন্তব্য এদিন করেন তিনি। অন্যদিকে এদিন তাপস রায়ের সঙ্গে বেশ কিছু অনুগামীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতা লোকসভা আসন থেকে তাপস রায়কে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু-সুকান্তদের কথা হয়েছে। তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এদিন বিজেপির তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনকি তাপস রায়ও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে জানিয়েছেন, দল যা দায়িত্ব দেবে তা পালন করব। অন্যদিকে তাপস রায়ের তৃণমূল ত্যাগ বড় ধাক্কা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। এভাবে গতার চলে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলেই মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, তাপসদার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাঁর তৃণমূল ছেড়ে চলে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। উত্তর কলকাতার প্রত্যেক তৃণমূল কর্মী তাঁকে ভালোবাসতেন। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেইমানি করলেন তাপস রায়। বিজেপি যোগের পরেই পালটা তোপ তৃণমূলের। শান্তনু সেন বলেন, ইডির ভয়ে এবং বড় ডিলের কোনও অফারে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাপস রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মন্ত্রী করা থেকে শুরু করে বড় দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলেই দাবি রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের।