বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে য়োগ দেওযার কথা আগেই জানিযেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ শুক্রবারই গেরুযা শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুর ১২ টার সময় বিজেপিতে যোগ দিয়ে পারেন প্রাক্তন বিচারপতি। তবে রাজনৈতিক ময়দানে পা রাখার আগে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি হিসাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছেন তা খারিজ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছেন। যদিও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কোনও রায় দেননি বলেই দাবি করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি (Ex Justice Abhijit Ganguly) ।
গত কয়েকদিন আগেই বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি (Ex Justice Abhijit Ganguly)। একই সঙ্গে কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। এমনকি নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন।
বলেন, তালপাতার সিপাহী রয়েছেন যিনি তৃণমূলের সিনিয়র নেতাদের বিপদে ফেলতেই নারদ-চক্রান্ত করেছিলেন। সবটাও চক্রান্ত বলেও দাবি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ডায়মণ্ডহারবারে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জও জানান প্রাক্তন বিচারপতি।
পালটা দু’নম্বরি বলে একেবারে কুৎসিত ভাষায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Ex Justice Abhijit Ganguly) আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই তাঁকে হারানোর চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন বিচারপতির জমানত জব্দ হবে বলেও তোপ শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।
এমনকি বিচারপতি পদে থেকে রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছেন বলেও তোপ দেগেছেন বলে দাবি। যদিও পলিটিক্যাল বায়োসড হয়ে কোনও নির্দেশ তিনি দেননি বলে পালটা দাবি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর এই রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই বিচারপতি পদে থাকাকালীন এসএসসি সন্মগক্রান্ত সমস্ত মামলা খারিজের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারাদের একাংশ।
যে মামলায় হাইকোর্টে সওয়াল করবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে চাকরিহারাদের দাবি, পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল বিচারপতির ছিল বলেও আবেদন চাকরিচ্যুতদের। বলে রাখা প্রয়োজন, গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ মামলায় একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আর সেই মামলাতেই তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। টাকার বিনিময়ে কীভাবে অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন সেই কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার মামলা হাইকোর্টে। এই বিষয়ে আদালত কি জানায় সেদিকেই নজর সবার।