বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে কলকাতায় জোরদার আন্দোলন চলছে। কিন্তু এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত জুনিয়ার ডাক্তাররা ।

 

অনেকেই মনে করছেন এবার কাজে ফেরা উচিত, অনেকেই আবার পুজোর ছুটিতে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতিতে থেকেও বেশিরভাগ পোস্ট গ্রাজুয়েট (পিজিটি) অলিখিতভাবে ডিউটি করছেন। অন্তর্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটারেও তাঁদের ডিউটিতে দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র বহির্বিভাগেই পিজিটিদের দেখা মিলছে না। মাঝে প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে অভয়া স্বাস্থ্য শিবির করেছেন আন্দোলনকারীরা। বহু দুঃস্থ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা করে ওষুধও দিয়েছেন তাঁরা। জরুরি বিভাগের বাইরে অবস্থানেও ভিড় ক্রমশ কমছিল। কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিরা কাজে যোগ দিয়েছেন আগেই। তবে এমজেএন মেডিকেলে তারা রাতের ডিউটি করছেন না। দুই জায়গাতেই কাজে যোগ দিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন জারি রেখেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা।

শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের জরুরি বিভাগের বাইরে অবস্থানে গত বেশ কয়েকদিনের তুলনায় ভিড় অনেকটাই বেশি ছিল। অবস্থানে থাকা ডাক্তারি পড়ুয়াদের কেউ কেউ বলেছেন, রাজ্যকে দাবিগুলি মানার জন্য কিছুদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এবার আমাদের কাজে ফেরা প্রয়োজন। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ডাঃ শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য, ‘আন্দোলন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের দফায় দফায় বৈঠক চলছে।’

মেডিকেল সূত্রের খবর, জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে দেড় মাস ধরে পূর্ব নির্ধারিত অপারেশনগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অনেক জুনিয়ার ডাক্তারই কাজে ফেরায় আবার সেই অপারেশনগুলি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেই অপারেশনগুলি করা হচ্ছে।

এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আংশিকভাবে কাজ করছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। তবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও এমজেএন মেডিকেলে নিরাপত্তার বন্দোবস্তের দাবিতে এখনও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রতিবাদে তাঁরা ‘নাইট ডিউটি’ বন্ধ রেখেছেন। যদিও এখানকার জুনিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পরবর্তীতে আন্দোলনের রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে শনিবার তাঁদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *