বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:গ্রেফতারের পরেই কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ শেখ শাহজাহান। তবে তাঁর জন্য কোনও ‘সমবেদনা’ নেই বলেই তকার আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানালেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
একদিকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রবল চাপ অন্যদিকে বিরোধীদের আন্দোলন। অবশেষে ৫৬ দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan Arrested)। আজ বৃহস্পতিবার মিনাখা থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে বারাসাত আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত।
অন্যদিকে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। আর তাঁকে দেখেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, আপনার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। তবে আগাম জামিনের আবেদন ২ দিন আগে খারিজ হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
যদিও এই প্রসঙ্গে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, নিম্ন আদালতে এখনও আমার চারটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। এমনকি বুধবার নতুন করে যে মামলা হয়েছে সে বিষয়ে আমরা জানতাম না বলেও দাবি সওয়াল শেখ শাহজাহানের আইনজীবীর।
পালটা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, ৪৩ টা মামলাও আছে। আর তা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আগামী ১০ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। এই মক্কেলের অনেক কাজ করতে ব্যস্ত থাকতে হবে। ৪-৫ জন জুনিয়র রাখতে হবে বলেও মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। এমনকি এই ব্যক্তির জন্য আমার কোন সমবেদনা নেই বলেও মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
কলকাতা হাইকোর্টের এহেন পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। যদিও সেই জামিনের তীব্র বিরোধীতা করে ইডি। শুধু তাই নয়, আগাম জামিন পেলে তৃণমূল নেতা লন্ডনে পালিয়ে যেতে পারে বলেও আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবী। যদিও দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে আদালত সন্দেশখালির ‘বাদশা’র আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টেও রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন। সেটাও যদিও খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।