বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:একেই হয়তো বলে চূড়ান্ত উদাসীনতা। আমরা বার বার করে সরকারি কর্মীদের কর্ম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার কথা বলি। কর্ম সংস্কৃতি ফিরেছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, কিন্তু তথ্য সংরক্ষণে কলকাতায় পৌরসভা যে চূড়ান্ত উদাসীন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বর্ধমানের বাসিন্দা অংশুমান বেতাল কলকাতায় কর্পোরেশনের চাকরি ছেড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি নিয়েছে গত অক্টোবর মাসে। কিন্তু তা জানেন না কর্পোরেশনের আধিকারিকরা। তাদের কাছে সেই তথ্য পর্যন্ত নেই। সম্প্রতি শহর জুড়ে সম্পন্ন হওয়া হকার সমীক্ষার কাজে তাঁকে নিযুক্ত করেছে পুরসভার পার্সোনেল বিভাগ! এখানেই শেষ নয়। কেন তিনি হকার সমীক্ষার কাজে যোগ দেননি এবং তাঁর অনুপস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানাননি, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে পাঠানো হয়েছে কারণ-দর্শানোর চিঠিও। স্বাভাবিক কারণেই অংশুমান ওই চিঠি পেয়ে অবাক হয়েছেন।

শুধু চিঠি নয়, তাকে আগে ফোনও করা হয়েছিল ওই একই বিষয় নিয়ে। অংশুমান সংবাদ মাধ্যমকে ফোনে জানান, ‘আমি অনেক দিন আগেই পুরসভার চাকরি ছেড়েছি। প্রথমে আমাকে ফোন করে বলা হয়, কেন আমি হকার সমীক্ষার কাজে যোগ দিইনি। এর পরে শো-কজ়ের চিঠি পাঠানো হয় হোয়াটসঅ্যাপে। যে ভাবে প্রথমে ফোন ও পরে চিঠি ধরানো হল, তাতে আমি অপমানিত বোধ করছি।’’ স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে কলকাতায় পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকান্ড নিয়ে। মুখে অনেক কথা বলা যায়, কিন্তু বাস্তবে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে না।
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ক্লার্কস ইউনিয়ন’-এর সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এক জন পুরসভার চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। অথচ, সেই তথ্য পুরসভার কাছে নেই! এটা তো পুর প্রশাসনেরই অপমান।’’ তবে এটা যে ভুল হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন পৌরসভার এক আধিকারিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *