বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নীরজ চোপড়া এখনও অবধি পেরে ওঠেননি। প্যারিস অলিম্পিক্সের আগে জ্যাভলিনে ৯০ মিটারের মাইলস্টোন ছোঁয়া তাঁর লক্ষ্য বলে আগেই জানিয়েছিলেন।

নীরজ না পারলেও এবার জার্মানির ১৯ বছরের ম্যাক্স ডেহনিং (Max Dehning) এই মাইলফলক স্পর্শ করে তাক লাগিয়ে দিলেন। অলিম্পিক্সের আগে যা চাপ বাড়াল নীরজের উপর।

জার্মানির হলে শীতকালীন থ্রোয়িং চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেছিলেন ম্য়াক্স। সেখানে তিনি ৯০.২০ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করেন। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ৯০ মিটারের মাইলস্টোন তিনি স্পর্শ করলেন। অর্থাৎ এত কম বয়সে এর আগে কেউই ৯০ মিটার বা তার বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়তে পারেননি।

অলিম্পিক্সের বছরে তিনিই প্রথম ৯০ মিটার বার তার বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন পাঠালেন। রবিবার এই কীর্তি গড়ার আগে অবধি তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল ৭৮.০৭ মিটারের। অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দু-বারের রুপোজয়ী ম্যাক্সের প্রথম থ্রোটিই ছিল ৯০.২০ মিটারের। যা তাঁর আগের সেরা পারফরম্যান্সের চেয়ে ১২ মিটার বেশি।

পুরুষদের জ্যাভলিনের ইতিহাসে ম্যাক্সের এই থ্রো রইল ২২ নম্বরে। সবচেয়ে বেশি ৯৮.৪৮ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপের বিশ্বরেকর্ডটি রয়েছে কিংবদন্তি চেক প্রজাতন্ত্রের জান জেলেনির (Jan Zelezny) দখলে। তাঁর ৯০ মিটারের থ্রো যে ফ্লুক ছিল না তা ম্যাক্স স্পষ্ট করে দেন দ্বিতীয় থ্রো ৮৫.৪৫ মিটার দূরত্বে পাঠিয়ে।

প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি স্থির হয়েছিল ৮৩ মিটারের। ফলে ম্যাক্স অলিম্পিক্সে নামার ছাড়পত্রও আদায় করে নিলেন। এই প্রতিযোগিতায় নিকো সাইক্লিস্টের সেরা থ্রো ছিল ৭৬.৫৬ মিটারের। অলিম্পিক্সের বছরে এখনও ট্র্যাকে নামেননি নীরজ, জাকুব ভাদলেচ, অ্যান্ডারসন পিটার্সরা। কিন্তু তাঁদের চ্যালেঞ্জ ছুড়তে প্রস্তুত ম্যাক্স।

জার্মানি থেকে এর আগেও ভালো মানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার উঠে এসেছেন। বিশেষ করে সেরা থ্রো-র তালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারীই একজন জার্মান। জোহানেস ভেটের (Johannes Vetter) ৯৭.৭৬ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করেছিলেন। তাঁর সঙ্গেই সেরা ১০ থ্রো-র তালিকায় রয়েছেন আরও তিন জার্মান- থমাস রোহলার (৯৩.৯০ মিটার), রেমন্ড হেখট (৯২.৬০ মিটার), আন্দ্রে হফম্যান (৯২.৬০ মিটার)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *