বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হয়েই বিতর্ক শুরু করে দিলেন ওম বিড়লা। এদিন তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জারি করা জরুরি অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতেই বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ১৯৭৫-এর ২৫ জুন জরুরি অবস্থা জারিকে তিনি ভারতের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন।
ওম বিড়লা দ্বিতীয় দফায় প্রথম ভাষণে বলেন, এই হাউস ১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সেই সব লোকেদের সংকল্পের প্রশংসা করছেন, তাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, লড়াই করেছিলেন এবং দেশের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন এবং বাবা সাহেব আম্বেদকরের তৈরি সংবিধানকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী ভারতে একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সেই সময় ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চূর্ণ করা হয়েছিল এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে চূর্ণ করা হয়েছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভার বিশ্বে গণতন্ত্রের জননী হিসেবে পরিচিত। ভারতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বিতর্ককে সবসময়ই সমর্থন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সবসময় সুরক্ষিত ও উৎসাহিত হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময় যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেন নবনির্বাচিত স্পিকার। এই কারণে বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ তীব্র করেন ও স্লোগান দেন।
এদিকে, দ্বিতীয়বারের জন্য লোকসভার স্পিকার হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওম বিড়লাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্পিকারের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছেন। লোকসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর মিষ্টি হাসি পুরো হাউসকে খুশি রাখে। আগের লোকসভা তাঁর (ওম বিড়লা) নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি পাথ ব্রেকিং আইন পাশ করেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও ওম বিড়লাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পরে এদিন ওম বিড়লাকে শুভেচ্ছা জানান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও।