বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আজও ছাড়বে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতেই ছাড়বে ট্রেন। অন্যদিকে এখনও রাঙামাটি স্টেশনের কাছে লাইন ক্লিয়ারিংয়ের কাজ শেষ হয়নি। রেলকর্মীরা কীভাবে বৃষ্টি মাথায় করে কাজ করে চলেছেন। এখনও ছড়িয়ে ছিটে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যন্ত্রাংশ।

সকাল সাড়ে ৬টায় শিয়ালদহ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যায় আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। কিন্তু মঙ্গলবার দেরিতে ছাড়বে ট্রেনটি। কারণ কামরাগুলির বেশকিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাছাড়া গতকাল ভোর রাতে ট্রেনটি পৌঁছে ছিল শিয়ালদহ। সেকারণে মেন্টেনেন্সেরও বেশ কিছু কাজ বাকি ছিল। সেগুলি করে তবে ট্রেনটি ছাড়া হয়েছে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছাড়ছে ট্রেনটি।

আজও রিজারভেশন মতোই যাত্রীরা সেই অভিশপ্ত ট্রেনে চড়বেন। আতঙ্কের ছাপ মুখে নিয়েই তাঁদের গন্তব্যে রওনা হতে হবে এমনই জানিয়েছেন আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। অন্যদিকে এখনও রাঙাপাণি ও নিজবাড়ি স্টেশনের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ি এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কামরা। প্রবল বর্ষণ চলছে উত্তরবঙ্গে। তারমধ্যেই রেলকর্মীরা সেখান থেকে বগিগুলি সরানোর কাজ করে চলেছেন।

লাইনের উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা কামরার অংশ। গতকাল প্রবল গতিতে মালগাড়িটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় ছিটকে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের তিনটি কামরা। তিনটি কামরাই একেবারে দুমরে-মুচরে গিয়েছিল। ৩০ ফুট উচ্চতায় গিয়ে ঝুলছিল পার্সেল ভ্যানটি। মালগাড়ির চালক, লোকো পাইলট এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। আহত ৬০ জনের মতো। রেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মানার কারণেই এই দুর্ঘটনা। যদিও পরে জানা গিয়েছে ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে খারাপ ছিল লাইনের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম। সেকারণে ম্যানুয়াল স্লিপ দিয়ে ছাড়া হয়েছিল মালগাড়িটি। রেল ম্যানমেড অ্যাক্সিডেন্টের কারণ দেখিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাঙামাটি স্টেশনের কাছে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইন পরিষ্কারের কাজ চলছে। একটি লাইন দিয়ে ধীর গতিতে চলছে ট্রেন। বিকেলের পর দুটি লাইন খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তার আগে লাইন মেরামতির কাজও শেষ করতে চাইছেন তাঁরা। তবে রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন যাত্রীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *