বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ‘ধর্ম’ যখন রাষ্ট্র নায়কদের কাছে প্রধান হয়ে ওঠে তখনই আসে প্রতিযোগিতা, আর তার জন্যই চাই অযোধ্যার রাম মন্দির কিংবা দিঘার জগন্নাথ মন্দির। দিঘার জগন্নাথ মন্দির স্থাপন মুখ্যমন্ত্রীর বড়ো সাধের কাজ। মন্দিরের কাজ অনেকটাই শেষ।
তবে এ বছর রথের আগে উদ্বোধন করা না গেলেও ২০২৫ এর রথের আগে খুলে যাবে এই মন্দিরের দরজা। তবে দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি হচ্ছে তা নিছক আর পাঁচটা মন্দিরের মতো নয়। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে একেবারে বিশ্ব সংস্কৃতির চর্চা কেন্দ্র তৈরি হবে। এখানে গবেষণার সুযোগ. ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার থাকবে। এই মন্দিরের সঙ্গে পুরীর মন্দিরের কিছু মিল অবশ্যই থাকবে।
এখানেও ধীরে ধীরে হয়তো তৈরী হবে পুরীর মতো পান্ডারাজ। তবে এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, সেই দিকে প্রশাসনের কঠোর নজর থাকবে। তবে মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য প্রতিদিন ধ্বজা পাল্টানোর ব্যবস্থা থাকবে বলেই শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মন্দিরের বিগ্রহের ছবি অনুমোদন করার পরে তা রাজস্থান থেকে বানিয়ে আনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরে যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকে, সে কথা মাথায় রেখে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নাগরিক মহলের একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে একটা সেকুলার দেশে মন্দির তৈরী করা কি সরকারের কাজ? সময় হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।