বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: এরপরে না বাংলায় ‘দুয়ারে বিদ্রোহ’ শুরু হয় হয়। একসঙ্গে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষককের চাকরি যদি চলে যায় ও তাদের এতো দিনের বেতন ফেরৎ দিতে হয়, তাহলে চরিদিকে দিদ্রোহ হওয়া তো স্বাভাবিক।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) প্যানেলে থাকা ২৬ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের ফলে আপাতত চাকরি বহাল রয়েছে তাঁদের। তবে শীর্ষ আদালত শর্ত দিয়েছে, যত দিন বিচার প্রক্রিয়া চলবে, তত দিনই চাকরিতে বহাল থাকবেন সবাই। পরে যাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁদের শুধু চাকরি বাতিল হবে না, ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকাও। গভীর সংকটে রাজ্যবাসী।

এই অবস্থায় শিক্ষা দপ্তর প্রকাশ করতে চলেছে অযোগ্যদের তালিকা। এই প্রসঙ্গেই আন্দোলনরত যোগ্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আন্দোলন চলবে। অবৈধ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে যোগদান করলেও শিক্ষা দফতর কোন‌ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারা এই মুচলেকা নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রধান শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, যদি সরকার নির্দেশ না মানে, তাহলে আদালত অবমাননার দায় পড়বে সরকারের ঘাড়ে। তাই ভোট মিটতেই আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে তড়িঘড়ি শিক্ষা দফতর নিজেই অযোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *