বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সভাপতি পদ থেকে দিল্লির মসনদে সুকান্ত মজুমদার। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন বিজেপি এবং শরিকদলের সাংসদ। আর সেই তালিকায় রয়েছেন বালুরঘাটের নব নির্বাচিত সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসাবে এদিন শপথ নেন তিনি। যদিও তাঁকে মন্ত্রী করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, এবার লোকসভায় সুকান্তের নেতৃত্বে বাংলায় ভালো ফল হয়নি। কার্যত রাজ্য সভাপতি হিসাবে নতুন মুখ নিয়ে আসার দাবি উঠছে দলের অন্দরে। এই অবস্থায় সুকান্ত মজুমদারকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

খুবই সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। রাজনীতির সঙ্গে পরিবারের কারোর কোনও সম্পর্ক ছিল না। বাবা ছিলেন একজন চাকরজীবী। একেবারেই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে রাজনীতি করতে আসা। তবে ছোট থেকেই পড়াশোনায় যথেষ্ট দক্ষ ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। উদ্ভিদবিদ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। এরপর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক। পড়াশোনা এবং চাকরির সময় থেকেই আরএসএসের ঘনিষ্ঠ হওয়া।

আরএসএসের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সুকান্ত মজুমদারের। আর তা হয় ১৯৯৮ সালে। আর সেখান থেকেই রাজনীতিতে নিজের জায়গা মজবুত করা। প্রথমবারের জন্য সুকান্ত মজুমদার ২০১৯ সালে বালুরঘাট লোকসভা আসন থেকে প্রথম বিজেপির হয়ে প্রার্থী হন। সেবারই তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে বিপুল ভোটে হারান। এরপরেই রাজনীতিতে পাকাপাকি ভাবে পথ চলা শুরু। সাংসদ থাকাকালীনই ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দিলীপ ঘোষের জায়গায় বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন সুকান্ত মজুমদার।

বিধানসভার পর পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং এবারের লোকসভা নির্বাচন সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হয়। দুটি ক্ষেত্রেই কার্যত বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। যদিও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই বালুরঘাটে আনন্দ উৎসবে মাতলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। বালুরঘাটে শেষ মুহুর্তের খবর সম্ভবত শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।

বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার জানান, নরেন্দ্র দামোদর মোদী ৩য় বারের জন্য প্রধান মন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। সঙ্গে বালুরঘাটের ভূমিপুত্র ড: সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রী সভায় সুযোগ পাচ্ছেন। এবছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রী সভায় সুযোগ পাবেন বিজেপি দলের আশা ছিল, তাকে সুযোগ দিয়েছেন মোদীজী সেই জন্যই আজ এই আনন্দ উৎসবে মেতেছে বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *