বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আইপিএল হোক বা মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ, প্রতিটি মরশুম শেষেই এই টুর্নামেন্ট থেকে নতুন তারকারা উঠে আসেন। যাদের মধ্যে কেউ কেউ পরবর্তীকালে জাতীয় দলেও সুযোগ করে নেন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সংস্করণ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রানার্স দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সজীবন সাজনা।
মুম্বই দলকে ১৭২ রানের টার্গেট দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ বলে চার মারলে দিল্লির স্কোর ছুঁতে পারতো মুম্বই। ম্যাচ জিততে দরকার ছিল ৬ রান।হরমনপ্রীত কৌর আউট হওয়ার পরের বলেই সেই ছক্কা মেরে জেতালেন সাজনা। অভিষেক ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সব আলো কেড়ে নিলেন কেরলের সজীবন সাজনা। কিন্তু কে এই সাজনা? কীভাবে মহিলা প্রিমিয়ার লিগে উত্থান হল তাঁর? তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি কেরলের ওয়ানাডেতে জন্ম সাজনার। তাঁর ক্রিকেটীয় যাত্রা পথে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। কারণ তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। বাবা ছিলেন রিক্সাচালক। ফলে সেই পরিবারের মেয়ের ক্রিকেটার হওয়া তো ছিল আকাশ কুসুম কল্পনা। কিন্তু হাল ছাড়েননি সাজনা।
কেরলের কুরিচিয়া উপজাতির দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে মহিলা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সাজনা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেকের আগে সাজনা কেরল, দক্ষিণাঞ্চল এবং ভারতীয় মহিলা এ দলের হয়ে খেলেছেন। ১০ লক্ষ টাকা নূন্যতম ছিল নিলামে । সেখানেব১৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে দলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
সাজনার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে কেরলের অনূর্ধ্ব ২৩ দল থেকে। ২০২৩ সালে সিনিয়ার টি২০ চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে ৭ ইনিংসে ১৩৪ রান করার পাশাপাশি ৬ উইকেটও বল হাতে নেন সাজনা। এরপরই সকলের নজর কাড়েন তিনি। নিলামে রত্ন চিনতে ভুল করেনি মুম্বই দল। কারণ টি২০ ফর্ম্যাটে অল রাউন্ডারদের দাম সব সময়ই বেশি। ম্যাচেও তাঁরা বেশি কার্যকরী হন।
মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলের সুযোগ পাওয়াই লক্ষ্য সাজনা। তবে প্রথম ম্যাচেই যেভাবে নাটকীয় ভাবে ম্যাচ জিতিয়েছেন তাতে আগামী দিনে তাঁর দিকে নজর থাকবে সবার।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সতীর্থরাও উচ্ছসিত সাজনাকে নিয়ে। যস্বিত ভাটিয়া সাজনাকে কাইরেন পোলার্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন।হরমনপ্রীত বলেন, সাজনা প্র্যাকটিসেও বড় বড় ছয় মারেন। তিনি কী করতে পারেন তার প্রমাণ রাখলেন এই ম্যাচ।