বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বিরোধীরা অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই কাজকে ‘অতি নাটকীয়’ বলে সমালোচনা করলেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীরব প্রতিবাদ করার অধিকার আমার আছে। বাংলায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১২টি আসন।
সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২৯টি আসন। গোটা দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শরিক ধরে এখন এনডিএ সরকার গড়ে উঠেছে। রবিবার রাতেই হয়েছে শপথগ্রহণ। আর এই তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেস অংশগ্রহণ করবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্যন্ত সবটাই রাজনীতির অঙ্গ। কিন্তু এই শপথ পাঠ চলার সময়ে নিজের ঘরে আলো না জ্বালিয়ে নীরবেই প্রতিবাদ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘চিটিংবাজি করে কেন্দ্রে এই সরকার গড়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে এটা আমার প্রতীকী প্রতিবাদ।’ প্রশ্ন উঠেছে, গণতন্ত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠ দল সরকার গড়বে – এটাই গণতন্ত্রের রীতি। আর তা মেনে নেওয়াও গণতন্ত্রের অঙ্গ।
এই এনডিএ সরকার নানা কারচুপি করে এবং অন্যায় পথে গড়ে উঠেছে বলে দাবি তৃণমূলনেত্রীর। তাই প্রধানমন্ত্রীর শপথ বয়কট করে অন্ধকার ঘরে থেকে প্রতিবাদের পথ বেছে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এত বড় হারের পরে মোদীবাবুর উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর পদ অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া।’ তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশী। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর ঠিক করে দেওয়া অবস্থান মেনেই সুদীপ এবং অন্য কোনও নেতাই ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরের আলো জ্বালান নি রবিবার সন্ধ্যায়।