বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের উন্নয়নে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার। শুধু শিল্প-স্বাস্থ্য বা শিক্ষা ক্ষেত্রেই নয় একইসঙ্গে রাজ্যের খেলাধুলার উন্নয়নেও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। গত ১০ বছরে রাজ্যের ক্রীড়া সংস্কৃতি এবং ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্সও যে আমূল পাল্টে গিয়েছে তার উল্লেখ করলেন যোগী আদিত্যনাথ।
লখনউতে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘গত ১০ বছরে রাজ্য একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি একটু আগেই বারাণসী থেকে ফিরছি। যখন জানতে পারি এখানে প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের সম্মানিত করা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে এখানেই আসার সিদ্ধান্ত নিই।’
লখনউতে এই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে যোগী আদিত্যনাথ গত ১০ বছরে রাজ্যের খেলাধুলার সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে্ ধরেন। যোগীর কথায়, ‘গত ১০ বছর আগে এশিয়ান গেমসে উত্তরপ্রদেশ থেকে ভারতীয় দলে প্রতিনিরধির সংখ্যা ছিল ১৬%। রাজ্যে জনসংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে পদকের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে পরিস্থিতির বদল ঘটেছে।’
দেশে খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যোগী। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিতেই ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। খেলো ইন্ডিয়া দেশের খেলাধুলার সাফল্যের অন্যতম ভিত্তি। যোগী বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি কেন্দ্রে সাংসদ খেল প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় খেলো ইন্ডিয়ার আয়োজনের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় মাঠের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা শুধু সময় কাটানোর এখন বিষয় নয়।একজন ক্রীড়াবিদ তাঁর প্রতিভার মধ্য দিয়ে বিশ্বের দরবারে রাজ্য এবং দেশকে গর্বিত করতে পারেন। আমাদের সরকার প্রান্তিক এলাকাগুলিতেও খেলাধুলার উন্নয়নে জোর দিয়েছে।’
যোগীর বক্তব্যে উঠে এসে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার মহম্মদ শামির কথাও। যোগী বলেন, ‘মহম্মদ শামির গ্রামে স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে। ক্রীড়াবিদরা সমাজ এবং দেশের প্রতিনিধি্ত্ব করেন তাঁরা যুব প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। পারুল চৌধুরী এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছেন তিনি আমাদের রাজ্যের যুবদের কাছে একজন আইকন।’
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পদকজয়ীদের রাজ্য সরকার যেভাবে সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ করেছে সেটাও উল্লেখ করেন যোগী। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য সরকারের ক্রীড়া নীতি অনুসারে ১০ জন আন্তর্জাতিক স্তরের পদকজয়ীকে গেজেটেড অফিসার পদে নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি ৫০০ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা বাজেটে স্পোর্টস হোস্টেল করার কথা ঘোষণা করেছি, আরও বেশি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার তৈরি করা হবে।’