বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা ভোটে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই সঙ্গে বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রও ধরে রাখল শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন সাড়ে আট হাজারের বেশি ভোটে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিলেন সজল ঘোষকে। ভোটের দিন বরানগর দৌড়ে বেড়িয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
একাধিক জায়গায় সজল ঘোষকে দেখা গিয়েছিল ভুয়ো ভোটার ধরছেন। বরানগরের একাধিক বুথে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। সজল ঘোষকে গো ব্যাক স্লোগানও শুনতে হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীকে। সারাদিন দৌড়ে বেড়িয়েও শেষ পর্যন্ত ভোটের অঙ্কে পিছিয়ে পড়লেন সজল ঘোষ।
বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলেরই ছিল। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তাপস রায়। তিনি লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। এবং বিজেপি তাঁকে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছিল। সেখানেও তিনি জিততে পারেননি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছে। তাঁর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল অভিনেত্রী সায়ন্তিকাকে।
গত লোকসভা নির্বাচনে সায়ন্তিকাকে বাঁকুড়ার টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেবার জিততে পারেননি তিনি। এবার টিকিট না পেয়ে প্রথমে অভিমানী হয়ে উঠেছিলেন। তারপরে তাঁকে বরানগর কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সায়ন্তিকাকে প্রচারে খুব বেশি দেখা যায়নি। ভোটের দিন তো ছিলেনই না এলাকায়। একা বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ চারিদিকে ছুটে বেরিয়েছেন।
বরানগরে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল ভোটের দিন। এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সপ্তম দফার লোকসভা ভোটের সঙ্গে ভোট হয়েছে বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে দিনভর অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সায়ন্তিকাকে সেদিন ভোটের ময়দানে দেখা যায়নি। তবে অনায়াসেই এই কেন্দ্রে জয়ী হলেন তিনি।