বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বুথ ফেরৎ সমীক্ষা কতটা মেলে আর কতটা মেলে না তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পরে একে একে অন্তত ৭/৮ টি সংস্থা তাদের বুথ ফেরৎ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এক সমীক্ষার সঙ্গে আরেক সমীক্ষার প্রায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবে সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে সকলেই মনে করেন মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি আবার সরকার গড়ছে।
এই মুহূর্তে আমরা বাংলার ক্যালকাতা নিউজের বুথ ফেরৎ সমীক্ষা উপস্থিত করছি।
উত্তরে বিজেপির ঢেউ অব্যাহত।
আলিপুরদুয়ার থেকে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। জলপাইগুড়িতে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। এক থেকে তিন শতাংশ ভোট সুইং হলেই ফলাফল পালটে যেতে পারে জলপাইগুড়িতে। কোচবিহারে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। দার্জিলিঙে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী বালুরঘাটে জিততে পারেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রায়গঞ্জও বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দুটোই যেতে পারে বিজেপির হাতে। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে গত বছর বিজেপি পেয়েছিলো ৭টি, এই সমীক্ষা অনুযায়ী এবার ৮টি।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু তাহের খান জিততে পারেন বলে ওই বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ওই এক্সিট পোল অনুযায়ী, জঙ্গিপুরে জিততে পারেন খলিলুর রহমান। কঠিন লড়াই সত্ত্বেও বহরমপুরে জিততে পারেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, কৃষ্ণনগর থেকে জিততে পারেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তবে রানাঘাট ধরে রাখবে বিজেপির জগন্নাথ সরকার। বীরভূম ও বোলপুর দুটোই তৃণমূল জিততে পারে – শতাব্দী ও অসিত মাল। ওই সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে বর্ধমান-পূর্ব থেকে জিততে পারেন তৃণমূলের প্রার্থী শর্মিলা সরকার। আসানসোল থেকে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া। দুর্গাপুর- বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্র থেকে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ জিততে পারেন বলে ওই সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষার ৪ তারিখ পর্যন্ত।