বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্ক নিয়ে বারে বারেই অভিযোগ করে বামেরা। এটাই ঠিক যে ২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে বাংলায় আরএসএস বেড়েছে তীব্র গতিতে। উল্টো দিকে আরএসএসও নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্গা বলে সম্বোধন করেছিল।
যদিও ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরএসএসের থেকে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এপ্রিলের শেষের দিকে মেদিনীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে দাঁতনে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন আগে তিনি ভাবতেন আরএসএস মানে ত্যাগী। তবে ওদের মধ্যে কিছু ভাল লোক ছিল বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে আরএসএস নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আরএসএস না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসতে পারতেন না। এটা নিয়ে কার্যত বিরোধ তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে।
আরএসএসের হয়ে বাংলা ছাড়াও আন্দামানে প্রচারকের কাজ করাা দিলীপ ঘোষ এবার বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিও। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, আরএসএস কাউকে ক্ষমতায় আনে না, ক্ষমতা থেকে সরায় না। হতে পারে তখন উনি (শুভেন্দু) মমতার সঙ্গে ছিলেন। কী হয়েছে, না হয়েছে তাঁর (দিলীপ) জানা নেই। ক্ষমতার সঙ্গে আরএসএস কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘো। এদিন তিনি আরও দাবি করেছেন, আরএসএস সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে।
২০২৪-এর মার্চে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কোনও দিনই গভীর বন্ধুত্ব ছিল না। আবার শত্রুতাও ছিল না। প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকার সময় শুভেন্দু অধিকারী গত ২০২২-এর ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাকদ্বীপের সভা শুরু করেন বাংলায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতাও ছিল তাঁর মুখে। যা নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ভাষাটা কেমন পাল্টে গেছে দেখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেমন ভাষা বলছেন, আর প্রধানমন্ত্রী কেমন ভাষা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে বাংলার সংস্কৃতির কথা বলছেন। এখানকার পরিবেশের কথা বলছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষা শুনুন, সেখানে বাঙালিয়ানা নেই।
ঠিক দুই বছর আগে ২০২২-এর ১৭ মে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারিতে গিয়েছিলেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভগবত। সেই সময় মেদিনীপুর সফরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেশিয়ারির আইসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আরএসএস প্রধানের দেখভাল করতে, তাঁর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। মোহন ভগবতকে ফুল-মিষ্টি পাঠানোর বিষয়টি সামনে আসতেই সেই সময় বামেরা তীব্র আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।