বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বাংলায় ধান কেনার তহবিলের সাত হাজার কোটি টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। পাশাপাশি তাদের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা থাকলেও তা কি বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে গিয়েছে?

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ প্রশ্ন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ভ্যাকসিমন ও তহবিল চেয়ে তার পিআরকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন কিনা? এব্যাাপারে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন জয়রাম রমেশ। প্রসঙ্গত কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা এমন একটা দিনে প্রশ্ন তুললেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবারের মতো শেষ দিন প্রচার সারলেন বাংলায়।

কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছেন, রেশন দোকানে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর মুখ দর্শন না করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের তহবিল আটকে রেখেছে। রাজ্য সরকারকে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে তৈরি করা সাইনবোর্ড বোর্ড এবং ফ্লেক্স রাখতে বাধ্য করতে কেন্দ্রীয় সরকার সাত হাজার কোটি টাকার ধান সংগ্রহের তহবিল আটকে রেখে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রমেশ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ রাজ্যের ধান সংগ্রহ এবং গণবন্টন ব্যবস্থায় চাল সংগ্রহে মারাত্মক বাধা তৈরি করতে পারে।

কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন করেছেন, কেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের জনগণের স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে এত অবহেলা করছেন? রমেশের আরও প্রশ্ন, তাঁর (মোদী) প্রচার কি মানুষের প্রতিদিনের খাবারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ২০১৭ সালের এপ্রিলে নারদা কেলেঙ্কারি ঘটনায় সিবিআই তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। ২০১৯-এর এপ্রিলে সিবিআই লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করে। এরপরে ২০২০-র ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। এই সময় কিংবা পরবর্তী সময়ে সিবিআই লোকসভার স্পিকারের থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি পায়নি।

জয়রাম রমেশ বলেছেন, এই বছরের জানুয়ারিতে ইডি মানি লন্ডারিং মামলায় তৎকালীন তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের বাড়িতে অভিযান চালায়। এরপর মার্চে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এই যোগদানের কয়েকমাস আগে শুভেন্দু অধিকারী তাপস রায়ের বিরুদ্ধে একটি পুরসভায় নিযোগ দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে সেই অভিযোগ আর সামনে আসেনি।

কংগ্রেস নেতা কটাক্ষ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্লোগান তুলেছিলেন ভ্রষ্টাচার হটাওয়ের। কিন্তু তাঁর দল বিজেপি দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের টিকিট দিতেই ব্যস্ত। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী কি এই নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডির পদক্ষেপ স্থগিত করা নিয়ে কোনও আলোকপাত করতে পারেন?

প্রসঙ্গত এদিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ যেসব প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশে করেছেন, সেইসব প্রশ্ন বারে বারে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাা সপ্তমদফার নির্বাচন কিংবা ফল গণনার আগে যথেষ্টই তাৎপর্য পূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *