বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা ভোট একেবারে শেষ লগ্নে। আগামী ১লা জুন সপ্তম এবং শেষ দফার নির্বাচন। দীর্ঘ প্রায় দেড় মাসের প্রচারও একেবারে শেষ বেলায়। আর তা শেষ হলেই ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দিন লাগাতার বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসবেন তিনি (PmModi)।
আর এহেন পদক্ষেপকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে আজ বুধবার নির্বাচনী সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আর সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ধ্যানে বসার সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। একই সঙ্গে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, লোকে পুজো করলে কেউ ক্যামেরার সামনে বসে করেন। সমুদ্রের হাওয়া খেতে খেতে উনি প্রচার চালাবেন। যা এভাবে প্রচার করা যায় না বলে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব বলেও মন্তব্য করেন।
তৃণমূল নেত্রীর কথায়, উনি ধ্যান করতেই পারেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যম তা দেখাতে পারে না। পুরোটাই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ। বলে রাখা প্রয়োজন, ৩০ মে সন্ধ্যা থেকে আগামী ১ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে একেবারে ৪৮ ঘণ্টা ধ্যানমগ্ন হবেন। মূল ভূখণ্ডের অদূরে একটি শিলা রয়েছে। আর সেখানেই ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ, সেই ‘ধ্যানমণ্ডপমে’ই ধ্যান মগ্ন হবে প্রধানমন্ত্রী। আর এহেন পদক্ষেপকেই তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি।
পাশাপাশি সাইক্লোন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি (পড়ুন-নরেন্দ্র মোদী) নাকি সাইক্লোন আটকেছেন বলে দাবি করেছেন। কাকদ্বীপের স্লাইকোন আটকেছেন রাজপ্রাসাদে বসে? তোপ প্রশাসনিক প্রধানের। এই বিষয়ে তাঁর আরও দাবি, সারা রাত আমরা রাস্তায় থেকে দুর্যোগ মোকাবিলা করলাম, আর এখন উনি বলছেন স্লাইকোন আটকেছেন। বাঁধের কোনও টাকা কেন্দ্র দেয়নি। পুরোটাই মিথ্যা কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলছে বাঁধের টাকা দিয়েছেন। তৃণমূল নাকি তা খেয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি একটা টাকাও বাঁধের দেয়নি কেন্দ্র। তবে এদিন বারুপুরের সভা থেকে সিপিএম এবং বিজেপির ভোট ভাগভাগি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইউ সঙ্গে বলেন, ৩৪ বছর কিছুই করেনি। আজ সিপিএম বড় বড় কথা বলছে। ৩৪ বছর চিটফান্ডের টাকা নিয়েছে। চিটফান্ড বানিয়েছিল সিপিএম।