বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আন্দামান-নিকোবরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগেই প্রবেশ করেছে। এবার কেরলে প্রবেশের পালা। আবহাওয়া দফতর এদিন জানিয়েছে, কেরলে বর্ষার প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী দিন পাঁচেকের মধ্যে কেরলে বর্ষা শুরু হয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
সাধারণভাবে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করে পয়লা জুন। এবার সেই তারিখ অনুযায়ীই বর্ষার প্রবেশ হতে চলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের আবহাওয়া দফতরের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কেরলে বর্ষা শুরুর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। আবহবিজ্ঞানীরা বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ আরব সাগরের কিছু অংশ, মালদ্বীপের বাকি অংশ এবং কমোরিন অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, এই সময় লাক্ষাদ্বীপ, কেরলের কিছু অংশ,. দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরের কিছু অংশ, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কিছু অংশে বর্ষার আগমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সাধারণভাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে বর্ষা উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে। তারপর তা দক্ষিণবঙ্গের দিকে অগ্রসর হয়।
এদিকে যত সময় যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এদিকে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ রেমালের বেগ ছিল ঘন্টায় ১৫ কিমি। যার অবস্থান ছিল বাংলাদেশের মোংলা থেকে ৪০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে, কলকাতা থেকে ৯০ কিমি পূর্বে, ক্যানিং থেকে ৯০ কিমি উত্তর-পূর্বে।
ইতিমধ্যে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এদিন বিকেলে তা শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে তারপর রাতে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
সপ্তাহ খানের আগে আন্দামন ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষার প্রবেশের সময় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, ৩১ মে কিংবা পয়লা জুন বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। আবহাওয়া দফতরের অনুমান যে গতিতে বর্ষা এগোচ্ছে, তাতে তা ১৮-২০ জুনের মধ্যে গোরক্ষপুর কিংবা বারাণসী হয়ে উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলায় বর্ষা পৌঁছতে পারে আট থেকে ১২ জুনের মধ্যে। বিহারে বর্ষা পৌঁছতে পারে ১৫ জুন নাগাদ। ১৫-২০ জুনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে, ২৫-৩০ জুনের মধ্যে রাজস্থানে, ১০ জুনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে, ১৫ জুনের মধ্যে ছত্তিশগড়ে বর্ষার আগমন হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর মনে করছে, এবার দিল্লিতে বর্ষার আগমন হতে পারে ৩০ জুনের আশপাশের কোনও সময়ে।