বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় বাংলাদেশের সাংসদ খুনে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছেন সাংসদকে খুন করতে দেহের কিমা বানানো হয়েছিল। জিহাদ হাওলাদার নামে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এক কসাইকে।

এই ঘটনায় মূলচক্রী আমানুল্লাহ ভাড়া করে করেছিল জিহাদ এবং সিয়াম নামে দুই আততায়ীকে। তারা খুনের কয়েক মাস আগেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। জিহাদ মুম্বইয়ে ছিল। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। আমানুল্লাহের বাড়িতেই ছিল জিহাদ এবং সিয়াম।

শ্বাসরোধ করে প্রথমে সাংসদকে খুন করা হয়। তারপর দেহ লোপাটের জন্য কুচি কুচি করে কাটা হয় দেহ। ফ্ল্যাটের ভেতরেই ফ্রিজের মধ্যে রাখা হয়েছিল দেহ। ‌যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেকারণে হাড় এবং মাংস আলাদা করে কুচি কুচি করে কাটা হয়। এবং তাতে নুন হলুদ মাখানো হয়। তারপর থলেতে ভরে অ্যাপ ক্যাবে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় সেই থলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।

দেহের হাড়ও কুচি কুচি করে কেটে একটি পলিথিনের প্যাকেটে ভরে ফেলে আসা হয় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। খুলনা থেকে কসাই জিহাদকে নিয়ে আসা হয়েছিল।। মুম্বইয়ে লুকিয়ে ছিল জিহাদ। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে এসে প্রমাণ লোপাটের জন্য সাংসদের দেহের কিমা তৈরি করানো হয়। বনগাঁ থেকে সেই কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জমান এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে খুনের ঘট নার পরে কাঠমান্ডু হয়ে পালিয়ে গিয়েছে সে। দেহাংশের খোঁজে ভাঙড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে যেভাবে খুন করে দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করা হয়েছিল তাতে দেহাংশের খোঁজ পাওয়া দুষ্কর বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে সাংসদ হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী আখরুজ্জমান বাংলাদেশি হলেও সে কিন্তু আমেরিকার নাগরিক। তার নির্দেশেই সাংসদকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট করে জানতে পারেনি তদন্তকারীরা। এতো নৃশংসভাবে কেন ঝিনাইদহের সাংসদকে হত্যা করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও তল্লাশি চালাচ্ছে সেদেশের পুলিশ এবং তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *