বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন দুই দল আরএসএসের আদর্শের উপর দাঁড়িয়ে। দাবি করলেন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

শনিবার রাতে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী, আইনজীবী নীলাঞ্জন দাশগুপ্তের সমর্থনে বাঁকুড়া শহরে মহামিছিল শেষে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এতো দিন এখানে আছি কখনও মনে হয়নি কোনও ধর্ম বিপদে আছে। তবে বর্তমান সময়ে ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ওই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আরও বলেন, সুকৌশলে রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। তবে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কারণে কোনও এক জনকেও ওই প্রকল্পকে থেকে বঞ্চিত করলে আইনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের মাথায় লাঠির বারি মারার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ওঁরা জানেন কোনও একজনের এই প্রকল্প বন্ধ হলে তিনি (বিকাশ ভট্টাচার্য) আবারও আদালতে যাবেন। আদালতে গেলেই শিক্ষা দুর্নীতির মতো আরও দুর্নীতির প্রকাশ্যে চলে আসবে। সেকারণেই ঘুরপথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ করতে চাইছে, ঠিক যেমন বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রেখেছেন।

নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন এসএসসি যত তথ্য দেবে, ততই কেলেঙ্গারি বেরোবে। সন্দেশখালির আন্দোলনকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য উপস্থিত আমজনতার উদ্দেশ্যে বলেন, সকলে নির্ভয়ে ভোট দিন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রুপশ্রী কিম্বা কন্যাশ্রী কোনও সরকারি প্রকল্প বন্ধ হলে কিংবা পরিষেবা না পেলে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বকে বিষয়টি জানান। তখন আদালতের গুঁতোয় উনি আরও পাগল হয়ে যাবেন, এভাবে মানুষকে মানুষকে বঞ্চিত করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

একশো দিনের কাজের প্রকল্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ভিক্ষা চাওয়া হয়নি, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে কাজের অধিকার চাওয়া হয়েছিল। সারা দিন বসে থেকে বিনামূল্যে রেশনের জন্য অপেক্ষা নয়, কাজ চাই। যেখানে সরকারের দায়িত্ব ন্যূনতম ১০০ দিনের কাজ সৃষ্টি করা, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কায়দা করে ৫০ দিনে নামিয়ে এনেছেন। এই চেষ্টা আমাদের পিছন দিকে নামিয়ে আনার চেষ্টা বলে তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *