বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লকেট আপনার গলায় ঝুলতে পারে, কিন্তু পার্লামেন্টে গিয়ে আপনার কথা বলতে পারে না। আর রচনাকে দিয়ে তো গরুর রচনা লেখানো যাবে না, সে পার্লামেন্টে গিয়ে কী বলবে? বামেরা মনোদীপকে, দীপ্সিতাকে দাঁড় করিয়েছে কেন? পার্লামেন্ট নীতি নির্ধারণ হয় বলে, এদিন রবিবাসরীয় প্রচারে হুগলিতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম।
তিনি বলেন, আমাদের আজকের যা দশা যদি বদল করতে হয়, তাহলে দিশা বদল করতে হবে। যাদের নিজেদের দিশা নেই, তারা কী ভাবে সাধারণ মানুষের দিশা পাল্টানোর কথা বলে, হুগলির সিঙ্গুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে হওয়ার সভায় এমনটাই প্রশ্ন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী মনোদীপ ঘোষের সমর্থনে রবিবার সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। সেখানে তিনি মিছিলেও অংশ নেন। সিঙ্গুরের দুর্লভপাড়া পাড়া থেকে শুরু হয় মিছিল। সিঙ্গুর বাজার, বুড়াশান্তি হয়ে রতনপুর আলুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। মিছিলের শেষে পথসভা আয়োজিত হয় বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষের এর সমর্থনে। সেখান থেকে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ করেন বাম নেতা।
মহঃ সেলিম বলেন, তৃণমূল-বিজেপি আন্দোলন সংগ্রামে নেই। থাকলে হাথরাস নিয়ে আলোচনা করত। তারা হাঁসখালি নিয়ে আলোচনা করত। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওখানে বামেরা জমি বন্টন করেছিল, কিন্তু তৃণমূলের মস্তানরা তা দখল করেছে। সেই মস্তান শুভেন্দু ও অভিষেক দুইজনেরই লোক। সেখানে তৃণমূল ও বিজেপি মহিলাদের শিখণ্ডী হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম নেতা। তিনি দাবি করেন, সন্দেশখালিতে মানুষ নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে নিরাপদ সর্দারকে সামনে রেখে লড়াই করছে। আর বিজেপি-তৃণমূল পয়সা দিয়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে।
বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে সেলিম বলেন, মণিপুরে তো ডাবল ইঞ্জিন সরকার। কিন্তু সেখানে প্রতিদিন খুন হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে। তিনি বলেন, যে মণিপুরে নাগা-কুকিরা একসঙ্গে ছিল, তাদের মধ্যে এখন কেন দাঙ্গা হচ্ছে? তিনি বলেন, সেখানে সীমানা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যেতে পারবেন না।
তিনি এব্যাপারে রাজ্যেও ভাগাভাগির অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন এখানে পাহাড়, সমতল, রাজবংশী, উত্তর-দক্ষিণের মধ্যে ভাগাভাগি করা হচ্ছে।
হুগলির সভায় মহঃ সেলিম এদিন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কোল্ড স্টোরেজের আলুর সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, আলু একদিকে যেমন ক্ষেত থেকে বাজারে যায়, ঠিক তেমনই কোল্ড স্টোরেজ থেকেও যায়। শুভেন্দু অধিকারী হলেন তৃণমূলের কোল্ড স্টোরেজের। তিনি আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভা বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে তিন জেলার দায়িত্বে ছিলেন।