বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক চতুর্থ দফায় সকাল থেকে যেসব কেন্দ্রে অশান্তি হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণনগরের অন্তর্গত চাপড়ায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানো এবং ভোটদানে বাধার অভিযোগ করে সিপিআইএম। সিপিআইএমের পোলিং এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের বচসা থেকে হাতাহাতি হয়।

সিপিআইএমের তরফে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে শাসকদলের কর্মীরা। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তারা। কয়েকটি বুথে তৃণমূলের প্রবল বাধাকে উপেক্ষা করে সিপিআইএমের পোলিং এজেন্টরা বুথ আকড়ে পড়ে থাকেন বলে দাবি করা হয়েছে, সিপিআইএমের তরফে।

সোমবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই তেহট্টের থানারপাড়া এলাকার একটি বুথে সিপিআইএমের পেলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। সেখানে এক বামকর্মীর মাথা ফাটে। অন্যদিকে নাকাশিপাড়ার আড়ারবেরিয়া গ্রামের একটি বুথে সিপিআইএমের এক কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

চাপড়া বিধানসভা এলাকার সোনপুকুরের দাস পাড়ার নয় ও দশ নম্বর বুথে সিপিআইএমের ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতে হুমকির পরে সকালেও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই সেই গ্রামে যান সিপিআইএম প্রার্থী এসএম সাদি। তিনি ভোটারদের সঙ্গে করে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যান।

ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ-বৃদ্ধি নির্বিশেষে অভিযোগ করেন, রাত থেকে ভয় দেখানো হয়েছে। এমনকী এদিন সকালে ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দিলেও ফিরে যেতে বাধ্য হন। পরে অবশ্য প্রার্থী সাহস যোগানোর পরে তাঁরা ভোটের লাইনে দাঁড়ান। তবে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েও ভোটাররা আশঙ্কা প্রকাশ করেন ভোট দেওয়ার পরে বিকেল কিংবা সন্ধেয় কী হবে তাঁদের?

এদিন দুপুরে এক বুথে গিয়ে সিপিআইএম প্রার্থী দাদুর হয়ে ভোট দেওয়া নাতিকে ধরে ফেলেন। এমনই নাতি যে সে তার দাদুর নামও বলতে পারেনি। এসএম সাদি বলেন, তৃণমূল সকাল থেকেই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু বামকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

যদিও তৃণমূলের তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা পাল্টা বিজেপি ও সিপিআইএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় ভাল ফল করে সিপিআইএম। সেইসব জায়গায় তৃণমূল ও বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *