বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট চলছে কৃষ্ণনগরে। সেখানকার এক তৃণমূল কংগ্রেসের কীর্তি ভাইরাল।

কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তাঁকে ভোট দেওয়ার ভিডিও ওই তৃণমূল নেতা শেয়ার করতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

নির্বাচন কমিশনের তরফে বুথ লেভেল অফিসারের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় ভোটার লিস্ট। ওয়েবসাইট হোক, কিংবা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাতেও লেখা থাকে বুথে গিয়ে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না।

সেই নির্দেশিকার চতুর্থ পয়েন্টে লেখা রয়েছে, ভোট কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন ও ক্যামেরার মতো গ্যাজেট নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। একই কথা লেখা রয়েছে ইংরেজিতেও- “Gadgets Like Mobile Phones And Cameras Are Not Allowed Inside The Polling Booth.”

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অর্ঘ্য মণ্ডল তাঁর ফেসবুক স্টোরিতে আজ শেয়ার করেছেন এমন এক ভিডিও যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ভিডিওটি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও পোস্ট করেছেন। অর্ঘ্যর ফেসবুক পোস্টে লেখা তিনি কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি।

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক পুরুষ ভোটার বুথের ভিতর ঢুকে ইভিএমে তিন নম্বর বোতাম টিপছেন। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর নাম রয়েছে ইভিএমের তিন নম্বরে। এই বোতামটি টেপার ফলে লাল আলো জ্বলে উঠল, ভিভিপ্যাটে ভেসে উঠল মহুয়া মৈত্রর নাম ও দলীয় প্রতীক।

এই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী থিম সং- জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন। হাতটি দেখে বোঝার উপায় নেই কে বুথের ভিতর ঢুকে বেআইনি কাজ করেছেন। যদিও এই ভিডিও পোস্ট করে অর্ঘ্য লিখেছেন, উন্নয়নের পক্ষে আমার রায়।

নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ভোটারদের গিয়ে বুঝিয়েছেন, ইভিএমে কত নম্বর বোতাম টিপলে তাঁদের প্রার্থী জয়ী হবেন। ফলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলছেন, এমন ভিডিও শেয়ার করে ওই নেতা ভোটারদের প্রভাবিত করছেন।

বিরোধীদের তরফে কটাক্ষও ভেসে আসছে। তাঁদের কথায়, তৃণমূলে অবস্থা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে দলের প্রতি আস্থা বোঝাতে নেতাদের ভোট দেওয়ার ভিডিও তুলে আনতে হচ্ছে। কিন্তু সকলেরই প্রশ্ন, যেখানে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা-সহ গ্যাজেট নিষিদ্ধ, সেখানে কীভাবে তোলা হলো ওই ভিডিও। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তও দাবি করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *