বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে সন্দেশখালির এক ভিডিও ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়।

কিঅন্যদিকে বিজেপির দাবি ওই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে। তবে তার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক ভিডিও সামনে এসেছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করিনি আমরা ।

আগের ভিডিওয়র বিজেপি নেতা বলতে শোনা গিয়েছিল, সন্দেশখালিতে ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এবারের ভিডিও-র বার্তাও একই। তবে এক মহিলা দাবি করছেন, সেখানে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

ওই ভিডিও-য় মহিলা দাবি করেছেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল থানায়। না জানিয়ে তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল। এক সপ্তাহ পরে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা।

ওই মহিলা আরও দাবি করেছেন, পরে তিনি যখন মামলা তুলতে যান, তখন তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। এর পিছনে ছিলেন স্থানীয় দুই বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ও মাম্পি দাস। ওই মহিলা শেষ পর্যন্ত মামলা তুলতে সক্ষম হন।

প্রকাশ্যে আসা নতুন ভিডিওয় ওই মহিলা দাবি করেছেন, তাঁর অভিযোগ ছিল, রান্নার কাজের টাকা দেওয়া হয়নি। তাঁকে না জানিয়ে, সেই অভিযোগকেই ধর্ষণের অভিযোগে পরিণত করা হয়। ওই মহিলা দাবি করেছেন, তিনি যখন বাড়িতে ছিলেন না, তখন পিয়ালি দাস ও মাম্পি দাস বাড়িতে এসে শাশুড়িকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পিয়ালি দাসকে ফোন করলে জানায়, অভিযোগ পত্রে সই করানো হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে জানতে পারেন, তাঁর অভিযোগ পত্রে রয়েছে, রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।

বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস দাবি করেছেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি জানিয়েছেন, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। পিয়ালির দাবি, চাপে পড়েই ওই মহিলা মামলা তুলতে চেয়েছিলেন এবং পরে মামলা তুলেও নেন। তিনি দাবি করেছেন, সাদা কাগজে সই করানোর দাবি মিথ্যা। কারণ যা হয়েছিল সব থানায় হয়েছিল। থানায় তো সিসিটিভি রয়েছে। তা দেখা হোক বলেও দাবি করেছেন পিয়ালি দাস।

পিয়ালি দাস দাবি করেছেন, তৃণমূলের তরফে টাকার লোভ দেখিয়ে মহিলাদের দিয়ে এইসব বলিয়ে ভিডিও ভাইরাল করেছে। এব্যাপারে তদন্তের দাবি করে তিনি বলেছেন, এর কোনও সত্যতা নেই। তিনি আরও বলেছেন, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি মাথা পেতে নেব। আর যদি তা না হয়, তাহলে মানহানির মামলা করব।
শেষ পর্যন্ত সন্দেশখালি থানার পুলিশ পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *