বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: চাকদার জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কার্যত মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ করে বলেন,”নিঃশর্তই হবে। উনার দরকার আছে উনি আবেদন করে দিন।

কোন দেশ নিঃশর্ত নাগরিকত্ব কাউকে দিয়েছে। সেই লোকটা কোথা থেকে এসেছে সে সন্ত্রাসবাদি না কি আমরা জানবো না! যে তিনটে দেশের কথা বলা হয়েছে, সেই তিনটে দেশের নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে সেখানের সংখ্যালঘুদের। কেউ যদি রাশিয়া থেকে এসে বলে তাদের তো নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। সেই জন্য কোথা থেকে এসেছে জানাও। পেয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে এলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরের হোটেল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের জনসভায় যোগ দিচ্ছেন হেলিকপ্টারে করে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,”দিলীপ ঘোষ যখন মেদিনীপুরে ছিল তখন জঙ্গলমহলে ঘাঁটি গাড়তেন, হারিয়েছি। এখন বর্তমানে এসেছেন ঘাঁটি গেড়েছেন, হারাবো। আমরা যেমন সাইকেল রাখি স্টেশনে, উনি তেমন হেলিকপ্টার রেখেছেন সিটি সেন্টারে। হেলিকপ্টার, গাড়ি রাখুন যাই রাখুন বর্ধমানের মানুষ কেউ ভোট দেবে না।”মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া অভিযোগ তুলেছিলেন পাঁচ বছরে সংসদে কোন আওয়াজই তোলেননি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জুন মালিয়াকে আক্রমণ করে বলেন,”উনি জানেন সংসদটা কোথায়, বিধানসভাটা ভালো করে জানুন। উনি তো সন্ধ্যা রায়ের মতো সুন্দর চেহারা যা দেখার জন্য লোকে বসে থাকতো। উনাকে তো টিভিতেও দেখায় না। কি অভিনয় করেছেন কেউ জানে না। আর ওনাকে দেখতেও পাওয়া যায় না রোদে বেরোলে চেহারা খারাপ হয়ে যাবে। মেদিনীপুরে কোথায় থাকেন, দলের লোকেদের সাথে ঝগড়া করে আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। দুর্গাপুরের কেমিক্যালস কারখানা নিয়ে বলেন বন্ধের মুখে লোকজন নেই, ইলেকট্রিসিটি কেটে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল বলে মোদি বন্ধ করে দিয়েছে, এত সুন্দর ফ্যাক্টরি কেন বন্ধ করছে রাজ্য সরকার। ভুল অপপ্রচার করছে তৃণমূল।

তারপরেই তিনি দুর্গাপুরের অঙ্গদপুরের কেমিক্যাল কারখানা চত্বরজুড়ে প্রাত:ভ্রমণ করেন। তারপরেই তিনি ২০০ টাকার কেজিতে চারা পোনা মাছ কিনে মাছ বিক্রেতাকে ধূমপান না করার পরামর্শ দিলেন। তারপর দুর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানা সব লোক নিয়ে এলাকায় চক্র সারলেন। এলাকার বহু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *