বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লিখিত অভিযোগ না হলেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে দিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ তলব করল পুলিশ। ইতিমধ্যে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তা গঠন করা হয়েছে। দলে মোট আট জন সদস্য রয়েছেন।

তাঁরাই পুরো ঘটনার তদন্ত করছে বলে খবর। যদিও প্রতিটি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা (Kolkata Police)। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী।

একবার নয়, দুবার তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খোদ সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই ইস্যুতে কড়া ভাষায় নাম না করে রাজ্যপালকে বোসকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান। এমনকি আগেও এই অভিযোগ এসেছে বলে তোপ। কিন্তু বাচ্চা মেয়েটির কান্না হৃদয়কে কাঁপিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যাতেও অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা রাজভবনে যান। প্রয়োজনীয় প্রমাণ খোঁজা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ঘটনা জানার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও খবর। আর এরপরেই রাজভবনের সিসিটিভির ফুটেজ তলব করা হয়েছে বলে খবর। রাজভবনের ওসি’কে এই বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে। সেখানেই ফুটেজ জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে খবর। বেশ কিছু তথ্যের খোঁজেই সিসিটিভি’র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর।

অন্যদিকে রাজভবনে পুলিশের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমন দাবি করা হয়। সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা লালবাজারে আসেনি বলেই খবর। আর তা আসলে কীভাবে তা মোকাবিলা সম্ভব সে বিষয়েও আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। অন্যদিকে পুরো ঘটনা স্ক্রিপটেড বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। এমনকি পুলিশের অনুসন্ধানকারী দল গঠন নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন।

তাঁর দাবি, পুলিশ তো তদন্ত কমিটি করবেই। আমার বিরুদ্ধে আপনি একটা অভিযোগ করুন। তদন্ত দল তৈরি হয়ে যাবে। বাকি হাজার কোটি লুঠ খুন ধর্ষণ সেখানে কতজন গ্রেফতার হয়েছে? তারা বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ কি করেছে? পুলিশের কি যোগ্যতা? এবং সরকারের কি ইচ্ছা, সবই আমরা জানি। সম্মানীয় মানুষকে কীভাবে অপমান করতে হয়, তৃণমূল তা দেখিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি সহ কাউকেই অপমান করতে ছাড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *