বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বুধবার ১ মে মুক্তি পেতে চলেছে সঞ্জয়লীলা বনশালীর স্বপ্নের প্রোজেক্ট হীরামান্ডি। এটাই প্রথম ওয়েব সিরিজ বনশালীর। এর আগে কোনও ওয়েবসিরিজ তিনি পরিচালনা করেননি। বড় পর্দায় কাজ করেছেন তিনি। দেবদাস থেকে শুরু করে পদ্মাবত বনশালীর ছবির চর্চা গোটা দেশে রয়েছে। প্রতিটি ছবিই যেন একটা ক্যানভাস।

এবার ওয়েবসিরিজ মুক্তি পেতে চলেছে বনশালীর। সেটা তৈরি করতেও তিনি দীর্ঘ সময় নিয়েছে। বড় পর্দার থেকে কিছু কম নয় এই ওয়েবসিরিজ। নেটফ্লিক্স এই ওয়েবসিরিজটি পরিচালনার জন্য বনশালীকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে। লক্ষ কোটি টাকার নীচে পারিশ্রমিক পাননি ওয়েব সিরিজের অভিনেত্রীরা।

মণীষা কৈরালা, রিচা চড্ডা, সোনাক্ষী সিনহা, সঞ্জিদা শেখ থেকে শুরু করে একাধিক অভিনেত্রী রয়েছেন হীরামান্ডিতে। পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত জনপ্রিয় যৌনপল্লী হীরামান্ডিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটি। এই হীরামান্ডির একটা সময়ে যথেষ্ট সুনাম ছিল। এখানে নবাব পুত্তুররা আসতেন নবাবি আদব শিখতে। ইরান থেকে পারস্য মধ্যপ্রাচ্যে তাবর সুন্দরীদের নিয়ে আসা গতো এই গণিকা পল্লিতে। সেখানে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে কত্থক নৃত্যের পারদর্শীরা সব থাকতেন।

কিন্তু ব্রটিশ আমলে এটি নিষিদ্ধ পল্লিতে পরিণত হয়। সেই পতনের ইতিহাস তুলে ধরেছেন বনশালী। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই হীরামান্ডিতে। পুরোটাই যেন বনশালীর ক্যানভাস। ১০ বছর ধরে এটা নিয়ে পরিকল্পনা করেছেন তিনি। দেশের তাবর শিল্পীদের নিয়ে আসা হয়েছিল সেট তৈরিতে। ছবির সেট থেকে পোশাক কোনও কিছুতেই কার্পণ্য করেননি বনশালী।

জানা গিয়েছে ছবির জন্য যে গয়না তৈরি হয়েছে সেটা তিন মাস ধরে তৈরি করা হয়েচে। প্রায় ১০,০০০ গয়না তৈরি করা হয়েছিল এই ওয়েবস সিরিজের জন্য। সবটাই নবাবি স্টাইলের কানের পাশা, নাকের নথ, নেকলেশ সবেতেই রয়েছে মুঘল শিল্পের ছোঁয়া। ১০ হাজার শিল্পী নিরন্তর পরিশ্রম করে এই গয়নাগুলি তৈরি করেছেন। পরিচালক নিজেই অনেক সময় ডিজাই বলে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *