বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজ সহ আবাস একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কমিশন! এই বিষয়ে বারবার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি।

এই অবস্থায় ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকি আবাস যোজনায় কেন্দ্র টাকা না ছাড়লে ১১ লাখ উওভোক্তার বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই লাগাতার নির্বাচনী প্রচারে ঝড়ফ তুলছেন তিনি (Mamata Banerjee)। এমনকি এই ইস্যুতে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অন্যদিকে কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা মিলবে না ধরে নিয়েই এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন রাজ্য প্রশাসন।

নির্বাচন মিটলেই আবাসের টাকা যাতে মানুষকে দেওয়া সম্ভব হয় সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এজন্য একটি পৃথক পোর্টাল তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। এই পোর্টালের মাধ্যমেই মানুষকে আবাসকে দেওয়া হবে বলে খবর। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছেন।

সেই মতো এই পোর্টাল তৈরির কাজ চলছে। পরিকাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ সেরে রাখা হচ্ছে। নির্বাচন মিটলেই উপভো)ক্তাদের আবাসের টাকা দ্রুত মেটানো যায় সেজন্য এই ব্যবস্থা বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তবে টাকা দেওয়ার আগে উপভোক্তাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। দীর্ঘদিন ধরে আটকে আবাসের টাকা। এই অবস্থায় বাড়ির কী হাল? সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা আছেন কিনা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে প্রশাসনের তরফে।

আর তা খতিয়ে দেখার পরেই টাকা নবান্নের তরফে টাকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদি দেখা যায় বাড়ি হয়ে গিয়েছে, কিংবা বাড়ির মালিক নেই কিংবা অন্য কোথাও রয়েছেন। তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এরপরেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই পোর্টাল তৈরি নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে। যেখানে পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন বলে না গিয়েছে।

যেখানে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও আবাস যোজনা কিংবা ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ বিজেপির। একাধিকবার হিসাব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবাসের টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি বিজেপির। তা দিলেই সমস্যা মিটে যায় বলে দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *