বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাংলাদেশের মাথার উপর দুটি ঘুর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। স্থলভাগ থেকে সামান্য উপরে। আপ দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গ ঝালসে যাচ্ছে। সর্বত্র ব্যাপক তাপ প্রবাহ। তাপ ৪৫/৪৬ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেছে।

 

সম্প্রতিককালে এমন তাপ প্রবাহ দেখা যায় নি। তীব্র গরমে ঝালসে যাচ্ছে পুরুষ পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরের অবশ্য কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রফ যা বাংলাদেশের উপর দিয়ে ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর ০.৯ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত৷ সাইক্লোনিক সার্কুলেশন উত্তর পূর্ব বাংলাদেশের উপর বিস্তৃত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ০.৯ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ উত্তরপূর্ব অসমের কাছ দিয়ে ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ সমুদ্রতল থেকে ১.৫ কিমি থেকে ৩.১ কিমি পর্যন্ত এটি বিস্তৃত রয়েছে৷ প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে পরিবেশে। একবার বাংলাদেশে বৃষ্টি শুরু হলো ভালো বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিশেষ করে পূর্ব বাংলাদেশে।

অথচ দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। পুকুর, জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে। বিলের জল প্রবল গরম হয় মাছ মরে যাচ্ছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থেকে এখনই নিস্তার নেই৷ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের রেড অ্যালার্ট জারি৷ এই তালিকায় রয়েছে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান৷ এছাড়াও বাকি জেলাগুলিতেও রয়েথে ইয়েলো কিম্বা অরেঞ্জ অ্যালার্ট৷ তবে ২৩ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে ক্রমশ চলতে থাকা হিটওয়েভের জেরে এই সামাণ্য বৃষ্টিপাতে সাধারণ মানুষ কোনওরকম নিষ্কৃতি পাবে না৷ পশ্চিমের জেলাগুলি বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুরের অবস্থা ভয়াবহ। বৃষ্টিহীন বৈশাখে নাজেহাল পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি। হু-হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে তাতে রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সবার মনে প্রশ্ন কবে দেখা মিলবে স্বস্তির বৃষ্টির। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবারেও তাপমাত্রায় রেকর্ড গড়েছে পানাগড়। শুক্রবার এখানে ছিল রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শনিবারেও সেই তালিকার প্রথম স্থানে বদল হয়নি। শনিবার পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে। রয়েছে কমলা সর্তকতা। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে উত্তরের পাহাড়ে গরম কিছুটা কম। বিক্ষিপ্ত কিছু বৃষ্টি হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টি বা হলে উত্তরের সমভূমি অঞ্চল এবার পোড়া শুরু করবে বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *