দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। সবে মাত্র আট মাস চাকরি করেছেন। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন অনামিকাও। ফলে আদালতের এই রায়ে হতাশ অনামিকা রায়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৩-এর ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষিকা হিসাবে স্কুলে যোগদান করেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের হরিহর হাইস্কুলে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন।
এই অনামিকার চাকরি পাওয়ার লড়াইটা সহজ ছিল না। প্রথমে চাকরি পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। পরেশ অধিকারী তৃণমূলের যোগদান করার পরে প্যানেলে নাম না থাকলেও চাকরি পেয়েছিলেন অঙ্কিতা।
অন্যদিকে অঙ্কিতা অধিকারী অনেক দিন চাকরি করলেও শিলিগুড়ি মহকুমার ববিতা সরকার চাকরিটা তার প্রাপ্য বলে আদালতের দ্বারস্থ হন। আইনি লড়াইয়ের পর পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি যায়। চাকরিটা পান ববিতা সরকার। কিছুদিন পরে ওই ববিতা সরকারের চাকরিটা নিজের প্রাপ্য বলে আইনের দ্বারস্থ হন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায় । দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর চাকরি চলে যায় ববিতা সরকারের।
অবশেষে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনামিকা রায় রাজগঞ্জের হরিহর হাইস্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে কাজের যোগদান করেন। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল বলে রায় দেন। এই রায় যখন ঘোষণা হয় তখন অনামিকা রায় স্কুলেই ছিলেন। রায় শুনে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের কথা ভাবা হল না। এই রায় কাম্য নয় বলেও জানান অনামিকা।