বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যেই শাসকদলের বড় ধাক্কা! স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় চাকরি গেল প্রায় ২৬ হাজারের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ সামনে আসার তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।

উদ্বেগ বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনেরও। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাতারাতি কমে গিয়েছে ২৬ হাজার ভোটকর্মী।

ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে এখন আর সরকারি কর্মী নন। এই অবস্থায় (Lok Sabha Election 2024) ভোট কর্মী হিসাবে তাঁদের কাজে লাগানো কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ফলে এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর (Election Commission of India)। বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়।

এরপরেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় দফার নির্বচন আর বেশিদিন নেই। আগামী বুধবার ভোট রয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে ডিউটি পেয়েছেন অথচ চাকরি বাতিল হয়েছে এমন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মীর জায়গায় সংরক্ষিত তালিকাভুক্ত কর্মীরা ডিউটি করবেন।

এবার অন্য ভোট পর্বগুলিতেও এই সমস্ত চাকরিচ্যুতদের ভোটের কাজ থেকে সরানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। এই বিষয়টি আগামী তৃতীয় দফার ভোটে প্রশিক্ষণের সময় আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভোট কর্মীর সমস্যা হলে পাশের জেলা থেকে ভোটের জন্য কর্মী আনা হবে। বেশ কিছু কেন্দ্রে বেশি ভোট কর্মী রয়েছেন।

এই অবস্থায় যে জেলায় ভোটের জন্য কর্মী কম পড়বে সেখানে এই বাড়তি কর্মীদের পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত কমিশনের। প্রকাশিত তথ্য বলছে, মোট ৩০ শতাংশ কর্মীকে ভোটের জন্য রিজার্ভে রাখা হয়। এক একটি কেন্দ্রের জন্য এহেন ব্যবস্থা রাখা হয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে।
একটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সমস্ত বুথের প্রতিটির জন্য চারজন ভোটকর্মী রাখা হয়। এমনটাই প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ রিজার্ভ চিহ্নিত। প্রয়োজন হলে কিংবা কোনও সমস্যা হলে এই রিকার্ভ কর্মীদের ময়দানে নামায় কমিশন। এবারও সেই পন্থাই নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

যদিও অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কপি দেখা হচ্ছে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি নির্বাচন কপমিশনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *