বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সন্দেশখালি যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এই কথা জানিয়েছে। সন্দেশখালির চার জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই জায়গায় যেতে বাধা নেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। এমনই প্রাথমিক বক্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির।

 

সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য দু’বার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দুবারই তিনি পুলিশের সামনে বাধা পান। প্রথমে কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে আটকানো হয়েছিল। এরপর সন্দেশখালি যাওয়ার আগে রামপুরে আটকায় পুলিশ। ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলা ওঠে। সওয়াল জবাব হয়। বিচারপতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, সন্দেশখালি যেতে সমস্যা নেই শুভেন্দু অধিকারীর। সেক্ষেত্রে যেইসব এলাকায় ১৪৪ ধারা রদ হয়েছে, সেখানে যেতে পারবেন রাজ্যের
বিরোধী দলনেতা।

প্রথমে ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। গতকাল রবিবার বিকেল চারটের পর চারটি জায়গায় ১৪৪ ধারা শিথিল করা হয়েছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ওই চারটি জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন কোনও সমস্যা নেই। তাই সেই সব জায়গায় যাওয়া যেতেই পারে। শুভেন্দু অধিকারী নির্দিষ্ট করে জানান, কোন জায়গায় তিনি যেতে চাইছেন।

বিচারপতি পর্যবেক্ষণে এও জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারায় বলা আছে দেশের নাগরিক সব জায়গাতেই যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের বিধিনিষেধ থাকতে পারে। তবে সেই বিধিনিষেধ কতটা যুক্তিযুক্ত? সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে কী না। সেই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট খতিয়ে দেখতে পারে।
এদিন আদালতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী জানান, ১৯ টি জায়গার মধ্যে চারটিতে ১৪৪ ধারা রদ করা হয়েছে। ওই চারটি এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। স্বাভাবিক হতে চলেছে। তখন শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী জানান, তাহলে সেই চারটি জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী যেতে পারেন। সেখানে কোনও বাধা থাকে না।

এরপরেই আদালত মনে করেছে, ওই সব অঞ্চলে শুভেন্দু অধিকারী যেতে পারেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও যেতে বাধা নেই। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের৷ এবার শুভেন্দু অধিকারী জানাবেন, তিনি কোথায় যেতে চান। তারপর সব দিক খতিয়ে দেখেই কলকাতা হাইকোর্ট চূড়ান্ত রায় দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *