বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দাবায় নতুন ইতিহাস। কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে চ্যালেঞ্জ জানানোর যোগ্যতা অর্জন করলেন ভারতের ১৭ বছরের গুকেশ ডম্মা রাজু।

বিশ্বনাথন আনন্দের পর তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ক্যান্ডিডেটস চেস টুর্নামেন্ট জয়ী হলেন। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আনন্দের জয় এসেছিল ২০১৪ সালে। ১০ বছর পর গুরুর রেকর্ড স্পর্শ করলেন তাঁর শিষ্য।

গুকেশ বেশ কিছু দিন ধরেই বিশ্ব দাবায় নিজের প্রতিভার পরিচয় রাখছেন। তিনি কিন্তু ১৭ বছর বয়সেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন। ১২ বছর বয়সেই গ্র্যান্ডমাস্টার শিরোপা পেয়েছিলেন। এবার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে একেবারে তাক লাগিয়ে দিলেন ভারতীয় এই দাবাড়ু।

কানাডার টরন্টোয় ক্যান্ডিডেটস দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন গুকেশ। ১৪ রাউন্ডের প্রতিযোগিতার পর ভারতীয় সময় সোমবার ভোরে চ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ। এই বছরের শেষের দিকে গুকেশ চিনের ডিং লিরেন নামক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের মুখোমুখি হবেন।
ক্যান্ডিডেটস দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৮.৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য পেয়েছেন গুকেশ। চিনের লিরেনকে হারাতে পারলে কনিষ্ঠতম হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবেন গুকেশ। এই রেকর্ড রয়েছে ম্যাগনাস কার্লসেন এবং গ্যারি কাসপরভের।

এর আগে শনিবার তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন ফ্রান্সের আলিরেজার ফিরোজার। ১৩ রাউন্ডের প্রতিযোগিতার পর সেই ম্যাচ জেতেন গুকেশ।শেষ রাউন্ডে কালো ঘুঁটি নিয়ে আমেরিকার গ্র্যান্ডমাস্টার হিকারু নাকামুরার বিরুদ্ধে ড্র করেন ভারতের তরুণ দাবাড়ু। যার ফলে গুকেশ সম্ভাব্য ১৪-এর মধ্যে ৯ পয়েন্ট অর্জন করেন। এদিকে ফ্যাবিয়ানো করুয়ানা এবং ইয়ান নেপমনিয়াচির ম্যাচ ড্র হওয়ার ফলে, গুকেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ড্র-ই দরকার ছিল। এর ফলে অঙ্কের জটিল হিসেব নিকেষের মধ্যে পড়তে হয়নি গুকেশকে।

আমেরিকান হিকারু নাকামুরা’র বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিয়ে গুকেশ সম্ভাব্য ১৪ পয়েন্টের মধ্যে ৯ পয়েন্ট স্কোর করেন। বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে তিনি এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আনন্দ ২০১৪ সালে জয়ী হন।

গুকেশের মেন্টর বিশ্বনাথন আনন্দ। গুরুর পথ ধরেই সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন ভারতীয় কিশোর।ছাত্রের এই সাফল্যে উচ্ছসিত ভারতীয় দাবার কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দ। তিনি সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন,, “কনিষ্ঠতম চ্যালেঞ্জার এখন গুকেশ। তোমাকে অনেক অভিনন্দন। আনন্দ অ্যাকাডেমির সবাই তোমার জন্য গর্বিত। যে ভাবে কঠিন পরিস্থিতিগুলোর মোকাবিলা করেছ তার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে আমিও খুব গর্বিত। মুহূর্তটা উপভোগ করো।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *