বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের শুরুতেই প্রচন্ড গরমের উত্তাপে ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়ে ৪২-৪৩ ডিগ্রিতে। বেলা গড়াতেই রোদের তাপে ক্রমশ বাড়ছে। অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পাচ্ছেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও।
গরমের খবর যারা মানুষের কাছে প্রতি নিয়ত পৌঁছে দিচ্ছেন তারাও গরমে প্রবল সংকটের মধ্যে পড়ছেন। তীব্র গরমের চোট লাইভ সংবাদ পাঠের মাঝেই জ্ঞান হারালেন কলকাতা দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকা লোপামুদ্রা সিনহা।
অভিনেত্রী লোপামুদ্রা সিনহা টিভির পর্দায় পরিচিত মুখ। একইসঙ্গে তিনি দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকাও। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে লোপামুদ্রা সিনহা জানিয়েছেন সংবাদ পরিবেশনের মধ্যেই তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। সেই পরিস্থিতির কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
লোপামুদ্রা সিনহা নিজের বক্তব্যে বলেছেন, ‘লাইভ নিউজ চলার সময় আমার রক্তচাপ মারাত্মক কমে যায়, আমি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ি। বেশকিছুক্ষণ ধরেই আমার শরীরে অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল একটু জল খেলে ঠিক হয়ে যাবে। আমি কোনওদিন জল নিয়ে সংবাদ পাঠ করি না। সেটা ১০ মিনিটের নিউজ হোক বা আধ ঘন্টার, কখনও প্রয়োজন পড়েনি, ফ্লোর ম্যানেজারকে ইশারা করে জলের বোতল চাই। কিন্তু সেই সময় জেনারেল স্টোরি যাচ্ছিল, কোনও বাইট চলছিল না, ফলে জল খাওয়ার সুযোগ হচ্ছিল না।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার মনে হয়েছিল বাকি চারটি নিউজ স্টোরি সহজেই পড়ে ফেলতে পারব। দুটি কোনও ক্রমে শেষ করি, তিন নম্বর স্টোরিটি ছিল হিট ওয়েভের সেটা পড়ার সময়ই আমি ঠিক মতো টিপি দেখতে পারছিলাম না। আমি ব্ল্যাক আউট হয়ে যাই।’ এরপরই ফ্লোরে থাকা কর্মীরা তাঁর শুশ্রুষা শুরু করেন। চোখে মুখে জল দিয়ে সঞ্চালিকাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান। এমনিতে দূরদর্শনের নিউজ ফ্লোর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হলেও ওইদিন সেটি কাজ করছিল না, জানান সঞ্চালিকা।
নিজের ২১ বছরের কর্ম জীবনে এই প্রথম এমন ঘটনার সম্মুখীন হলেন লোপামুদ্রা। ওই সময় তাঁর নিউজ প্রোডিউসার তৎক্ষণাৎ বুলেটিন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। পেশাদার সংবাদ পাঠিকা হিসাবে সেই আফসোস লোপামুদ্রার রয়েছে। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন অসুস্থ লোপামুদ্রা। এই গরমে সবাইকে শরীরের যত্ন নিতে বলেন সঞ্চালিকা। পাশাপাশি চারিদিকে গাছ লাগানোর বার্তা দেন তিনি। সবাইকে সাবধানে থাকার কথা বলেন।