বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
সিডনি জুড়ে আবেগের নাম ওয়ার্নার। দলকে জিতিয়েই টেস্টে কেরিয়ারে ইতি টানলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষ টেস্টেও জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে ৩-০ ফলে হোয়াইট ওয়াশ করেই নতুন বছরের সূচনা করল অজিরা। সিডনি টেস্ট যতটা ছিল পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়ার তার থেকে বেশি ছিল ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী মঞ্চ। শনিবার আবেগে-চোখের জলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়ার্নার।
তৃতীয় দিনেটই দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। ফলে হার তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। শনিবার চতুর্থ দিনের সকালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ১১৫ রানে। ১৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়েই সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। জীবনের শেষ ইনিংসে ওয়ার্নারের সংগ্রহ ৭৫ বলে ৫৭ রান।
প্রথম ইনিংসে ৩৪ রান করেই আউট হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রিকেটে প্রেমীদের একটা ইনিংস উপহার দিলেন। লাবুসনের ৬২ এবং ওয়ার্নারের ৫৭ রানে ভর করে সিডনিতে টেস্ট জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ব্যাগি গ্রিনরা। ঘরের মাঠে এই নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টানা ১৭টি টেস্ট জিতল অস্ট্রেলিয়া। সেইসঙ্গে ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্টেও একরাশ লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল পাকিস্তানকে।
বিদায়ী ভাষণে ওয়ার্নার বলেন, ‘এটা মোটামুটি একটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই। আমরা এই সিরিজ ৩-০ ফলে জিতলাম, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের জন্য গত ১৮ মাসের সময়টা দুরন্ত ছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, অ্যাশেজ সিরিজ ড্র এবং তারপর বিশ্বকাপ। এখানে আসা এবং ৩-০শেষ করা একটি অসামান্য অর্জন। এখানে একগুচ্ছ দুর্দান্ত ক্রিকেটারদের সাথে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’
একইসঙ্গে ওয়ার্নার আরও উল্লেখ করেন, আমরা অনেকটা বিনোদনের ব্যবসায়ীর মতো, এখানে এসে আমি সব সময় যা করার চেষ্টা করি তা প্রদর্শন করতে পেরে খুশি। আমি টি২০ দিয়ে শুরু করেছি, টেস্টে ক্রিকেটেও সেই ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। আমি আমার শট খেলার চেষ্টা করেছি এবং বোর্ডে জয় পেতে সক্ষম হয়েছি। (পরিবার) আপনার জীবনের বিশাল অংশ, তাদের সমর্থন ছাড়া, আপনি যা করেন তা করতে পারবেন না।’
ডেভিড ওয়ার্নারকে পাকিস্তান দলের সই করা জার্সি উপহার দেন শান মাসুদ। ওয়ার্নার তাঁর হেলমেট ও গ্লাভস উপহার দেন এক খুদে সমর্থককে। গার্ড অফ অনার পেলেন, বাউন্ডারি লাইনে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন সতীর্থ, গ্যালারি উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাল তাঁকে।
সিডনিতে শেষ দিনে আবেগে ভাসলেন ওয়ার্নার। বিদায় বেলায় পাশে ছিলেন তাঁর পরিবাররে সদস্যরাও। বছরের প্রথম দিনেই একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন ওয়ার্নার। ভারতের মাটিতে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শেষেই অবসররের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। মূলত পরিবারকে সময় দেওয়ার কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন অজি তারকা ব্যাটার।