বেঙ্গল ওয়াচ ডেস্ক ::’কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দজাত।
‘কাল’ বলতে যেমন প্রবাহমান সময় বোঝায় ঠিক তেমনই ‘কাল’ হলো ‘কালো’।দেবী কালীর উৎস সম্পর্কে হিন্দু পুরণে একাধিক কাহিনী থাকলেও মূল কথাটি হলো, ‘চন্ড’ ও ‘মুন্ডা’ নামে দুই অসুর যখন দেবলোকে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে।তখন কোনো ভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।ঠিক তখনই এই অসুরের হাত থেকে দেবলোকে ও নরলোককে রক্ষা করার জন্য মহাদেবের প্রবল ক্রোধের ফলে তাঁর তৃতীয় নয়ন থেকে এক নিকষ কালো রমণীর জন্ম হয়।তিনিই প্রবল যুদ্ধ করে ওই দুই অসুরকে হত্যা করে।তাই কালীর এক রূপের নাম ‘চামুন্ডা’।
পূরণের কিংবদন্তী অনুযায়ী ওই দুই অসুরের রক্ত মাটিতে পড়তেই তার থেকে আবার অজস্র অসুরের জন্ম হয়।ফলে যত অসুর নিধন হয়,ততোধিক অসুরের জন্ম হয়।তখন দেবী কালী প্রবল শক্তিবলে অসুরের রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই নিজের মুখ গহ্ববরে শোষণ করে নেয়।তাই দেবী কালীর লোলুপ জিহ্ববা।আর সমস্ত অসুর বাহিনীর মুন্ড নিজের গলায় ধারণ করেন।তাই তিনি মুন্ডমালিনী।
গবেষকদের ধারণা ৬০০ খ্রিস্টাব্দ নগর এই বঙ্গে প্রথম কালী পূজা প্ৰচলিত হয়।
কার্তিক মাসের অমাবস্যায় যখন চারিদিক অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে ওঠে,ঠিক তখনই তিথি মেনে এই পুজো করে হয়।লৌকিক সংস্কার অনুযায়ী দেবী কালীকে কোথাও শ্মশানকালী কোথাও ভবতারিণী কোথাওবা চামুন্ডা আবার কোথায় মুন্ডমালিনী রূপে পুজো করা হয়।পৌরাণিক মতে শাক্তরা তান্ত্রিক মতে কালীর পুজো করেন।তবে এখন অনেকেই বৈষ্ণব ও শৈবমতেও কলী পুজো করেন।আসলকথা দেবীর প্রতি অচল ভক্তি।তাহলেই দেবী তুষ্ট হবেন।
(পরের পর্বে – বাংলার ডাকাতকালী)