বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে অযোধ্যাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে তিন লক্ষ ভক্ত সমাগম হবে বলেই আশা করা হচ্ছে এই শহরে।ফলে তীর্থক্ষেত্র অযোধ্যার পরিবহন ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। শুধু সড়ক পথেই নয়, একইসঙ্গে জলপথেও থাকছে ভক্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।

রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগে, অযোধ্যায় চালু হতে চলেছে সৌর বি্দ্যুৎ চালিত নৌকা পরিষেবা, এটি দেশের মধ্যে প্রথম। সরযূ নদীতে এবার যাত্রী পরিবহনের জন্য সৌরবিদ্যুত চালিত পরিবেশ বান্ধব এই নৌকা পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। জলপথেও যাতে ভক্তরা অযোধ্যায় পৌঁছাতে পারেন তার জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে পরিবহন ক্ষেত্রে।

ত্রিশটি আসন বিশিষ্ট এই ‘ই-বোটটি’ যৌথভাবে তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশ নিউ অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি এবং পুনের বেসরকারি সংস্থা সানি বোটস প্রাইভেট লিমিটেড। উত্তর প্রদেশের সরকারি সংস্থাটির আধিকারিকদের জানিয়েছেন, অযোধ্যার পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ হতে চলেছে এই নৌকা পরিষেবা। প্রতিদিনই এই সৌর বিদ্যুৎ পারিচালিত নৌকা পরিষেবা চালু থাকবে।
একইসঙ্গে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, যে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে এই নৌকার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং আনুষাঙ্গিকগুলি নিয়ে সরয়ু নদীর তীরে একত্রিত করে জলযানটি তৈরি করা হয়েছে।

বর্তমানে, এই জলযানটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুও করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের আগে এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শীঘ্রই বাকি জলযানগুলিকে সৌর বিদ্যুৎ পরিচালিত পরিবশ বান্ধব হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নৌকাটি ১০০ শতাংশ সৌর বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে। সৌর চার্জিং ছাড়াও এটি বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করেও চালানো যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই নৌকাটি ক্যাটামারান বিভাগের অন্তর্গত, যেখানে দুটি হুল কাঠামোকে যুক্ত করে একটি নৌকার কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে।

আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন।আগামী সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহে মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে। অযোধ্যা জুড়ে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহেরই উদ্বোধন হবে, রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে ঢেলে সেজে উঠছে উত্তরপ্রদেশের এই শহর। শুধু সাধারণ মানুষরাই নয় উত্তরপ্রদেশের সেলেবরাও রাম মন্দির আবেগে মোহিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *