বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
চাকরিতে নিয়োগের জট ছাড়াতে মরিয়া রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। হাজার দিন পেরিয়ে গিয়েছে চাকরি প্রার্থী আন্দোলনকারীদের। সোমবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে শনিবার দেখা করতে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এরপর ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও সেখান থেকে কথা হয়। আজ সোমবার সেই বৈঠকের সূচি নির্ধারিত হয়েছিল। সেই মতোই বেলা তিনটে থেকে বিকাশ ভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। চাকরি প্রার্থীদের অনুরোধে কুণাল ঘোষ এই বৈঠকে ছিলেন।
কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, সরকার চাইছে এই জট খুলে যাক। চাকরির জন্য আন্দোলন চলছে৷ সরকার নিজেও ন্যায্য চাকরি দিতে চায়। সেজন্যই পথ খোঁজ করা হচ্ছে৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি নিজে বসেছিলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি বলা হয়৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়ে অতিরিক্ত শূন্যপদ ঘোষণার কথা বলেন। সেখানেও নতুন করে আদালতে কথা হয়। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির ক্ষেত্রেও আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের। যারা বিরোধিতা করছেন, তারাই আন্দোলনের মঞ্চে যাচ্ছেন। এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করেন কুণাল ঘোষ।
সোমবার দুপুরে বিকাশ ভবনে পৌঁছে যান মেয়ো রোডে আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সাত সদস্যকে এই প্রতিনিধি দলে রাখা হয়। ২০২২ সালে টেট পাশ করে চাকরি প্রার্থীরা। গত বছর ১১ নভেম্বর তারিখে টেট পরীক্ষা হয়েছিল। তার আগে ২০১৭ সাল থেকে কোনও টেট পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ হয়নি।
মধ্যে দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষা। এখনও ইন্টারভিউ নেওয়া হল না। কত শূন্যপদে নিয়োগ হবে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। তাই আজশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার ছিল মেও রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাদের আন্দোলনের হাজারতম দিন। সেই দিন প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুর ভোগপুরের বাসিন্দা তথা মহিলা চাকরি প্রার্থী রাসমণি পাত্র নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। কান্নার রোল ও তীব্র ক্ষোভ ওঠে সেখানে। সিপিএম, বিজেপির নেতারাও সেখানে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন।