বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে গোপনে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এবারে একেবারে কোমর কষে নামছে বিজেপি। যদিও উত্তর ভারতে অএনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে কোনও রকম খামতি রাখতে নারাজ মোদী-শাহরা।
বিজেপি নেতাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এখন থেকেই তৈরি করে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেকারণে একটি প্যােনল তৈরি করা হয়েছে। সেই প্যানেলে রয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিম্ত বিশ্বশর্মা। প্যানেলের নেতাদের নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে বৈঠক সেরেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে তাতে দলবদল । একাদিক রাজ্যে বিজেপিতে যোগদানের প্রবণতা বাড়বে। সেই সুযোগে যাতে দলে বনোজল ঢুকে না পড়ে সেকারণে আগে থেকে সতর্ক থাকতে চায় গেরুয়া শিবির। তাই দলবদলের আগে নেতাদের বাজিয়ে নিয়েই দলে িনতে চান তাঁরা। আর এই নজরদারিতে কাজ করবে বিজেপির এই বিশেষ প্যানেল।
প্যানেলে রয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর থেকে শুরু করে মনসুখ মান্ডব্য, বিএল সন্তোষও। তাঁরা একদিকে যেমন বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি দেখবেন একই রকম ভাবে বিরোধী দলের হেভিওয়েট নেতাদের যাতে দলে টানা যায় সেটাও দেখবেন তাঁরা। শুধু সর্বভারতীয় স্তরেই নয় প্রতিটি রাজ্যেই এই প্যানেল নজরদারি চালাবে। তার জন্য আলাদা করে টিম গড়ে তোলা হবে।
লোকসভা ভোটের পাশাপাশি ৬ রাজ্যের বিধানসভা িনর্বাচনও রয়েছে ২০২৪ সালে। মোদীকে সামনে রেখে ৬ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে লড়তে চাইছে বিজেপি। তার মধ্যে সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ভোট হতে চলেছে জম্মু কাশ্মীরে। কারণ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটাই হবে প্রথম নির্বাচন বা গণভোট। যেখানে কাশ্মীরবাসী এক সংবিধানের নীচে থেকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
তারপরে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভোট হবে মহারাষ্ট্রে। সেই ভোটে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে বিেজপিকে। সেকারণে মহারাষ্ট্রের ভোটের আগে লোকসভা ভোট সেরে নিতে চাইছে বিজেপি। লোকসভায় মোদীকে সুনিশ্চিত করতে পারলে মহারাষ্ট্রের ভোটে বিজেপির জয় অনেকটা সুগম হবে। এই নিেয় ভেতরে ভেতরে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। মোদীকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরাতে মরিয়া মোদী সরকার। তবে দক্ষিণ ভারতে বিজেপি এবারও তেমন আসন দখল করতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে। ৩০ থেকে ৪০টি আসনেই বিজেপিকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।